Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা জোরদারে যা প্রয়োজন তা করা হবে : সারতাজ

| প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ শনিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারত মহাসাগরে শান্তির প্রতি ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় পাকিস্তান যা কিছু প্রয়োজন তা করবে; বিশেষ করে ভারতের পারমাণবিকীকরণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবে পাকিস্তান। আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তব্যদানকালে তিনি ভারত মহাসাগরে বিদ্যমান হুমকিগুলো তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছেÑ সামরিকীকরণ, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার, ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিদেশি সমর শক্তির ক্ষমতা প্রদর্শন, অবৈধ মৎস্য শিকার, মানব-মাদক ও অস্ত্র পাচার, সমুদ্রদূষণ ও আবহাওয়া পরিবর্তন অন্যতম। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সম্মেলনে সারতাজ ভারতকে হুঁশিয়ার করে আরো বলেন, যেসব কর্মকা- চালানো হচ্ছে, তার ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে এধরনের আশঙ্কাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা জোরদারে যা কিছু প্রয়োজন তা করা হবে। খবরে বলা হয়, পাকিস্তান গত মাসে পারমাণবিক সাবমেরিনের সাহায্যে বাবর-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। এটি ছিল সমুদ্রভিত্তিক সামরিক কৌশল। ভারতের অব্যাহত আক্রমণাত্মক ব্যবহারের কারণে এ পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। ভারত গত বছর পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। সারতাজ আজিজ বলেন, ভারত মহাসাগরকে পারমাণবিকীকরণ এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের কাছে এ মহাসাগরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের ৯৫ শতাংশ বাণিজ্য হয়ে থাকে এই সমুদ্রপথে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রয়েছে এবং তিন হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক জোন আছে। আছে করাচি বন্দর ও নবনির্মিত গভীর সমুদ্রবন্দর গোয়েদার। পাকিস্তানকে এর নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া স্যার ক্রিকে অনির্ধারিত সমুদ্রসীমা নিরাপত্তারও প্রয়োজন রয়েছে। সারতাজ বলেন, আমাদের সমুদ্রপথ উন্মুক্ত রাখতে নৌ-উপস্থিতি অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ভূমি ও সমুদ্রে আমাদের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি পাকিস্তানের জন্য উদ্বেগের বিষয়। পাকিস্তান ভারত মহাসাগরে শান্তিপূর্ণ নৌ-চলাচল এবং এ মহাসাগরের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশ^াসী। তিনি বলেন, আমরা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করি। তৃতীয় বৃহত্তম এই মহাসাগরের সাথে ৩০টিরও বেশি দেশের উপকূল রয়েছে। ভারত মহাসাগর শুধু এশিয়ারই গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, অফ্রিকা এমনকি ইউরোপের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সংযোগসূত্র। এ মহাসাগরের সাথে সম্পৃক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজিজ বলেন, বিশে^ তেলের মজুদের ৫৫ শতাংশ এবং গ্যাসের ৪০ শতাংশ এ এলাকায় রয়েছে। বিশ^ বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ সম্পাদন হয় ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে। বিশ^ শক্তি হিসেবে এশিয়ার উত্থানের লগ্নে আকর্ষণীয় নৌ-রুট হিসেবে ভারত মহাসাগরের ব্যাপারে একটি আদর্শ প্লাটফর্মে আমাদের দাঁড়াতে হবে। বর্তমানে ভারত মহাসাগরের বন্দরগুলো বিশ^ বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব বিভিন্ন কারণে পাকিস্তান এ মহাসাগরের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে চায়। ডন।



 

Show all comments
  • Rifat ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:০২ পিএম says : 1
    That's spirit
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ