মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে গতকাল শনিবার প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এই রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটকে কিভাবে মোকাবিলা করবেন তা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে জনবহুল এই প্রদেশটিতে মোদির শক্ত অবস্থান দরকার। ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় প্রায় ২০ কোটি মানুষের আবাস, যা পুরো ব্রাজিলের লোকসংখ্যার চেয়েও বেশি। গতকাল এই প্রদেশের পশ্চিমাংশে মোট ৭৩টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। ওই এলাকায় ২ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ। নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন ৮৩৯ জন প্রার্থী। ১৫ জেলার এই নির্বাচনে মোট ২৬ হাজার ৮২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে প্রধান প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো হলো ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোট এবং ভারতীয় সমাজবাদী পার্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার উত্তর প্রদেশের লড়াইটা মূলত বিজেপি ও কংগ্রেস-সমাজবাদী জোটের মধ্যেই হবে। বিজেপির উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন রাজনাথ সিংয়ের ছেলে পঙ্কজ সিং। তিনি নয়ডা আসন থেকে লড়ছেন। এছাড়াও বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শর্মা মথুরা আসন থেকে লড়ছেন। মেরঠ থেকে লড়ছেন লক্ষ¥ীকান্ত বাজপেয়ি। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে, সহিংসতার আশঙ্কায় মুজফ্ফরাবাদের উপর বিশেষ নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু মুজফ্ফরাবাদের জন্য ৬ হাজার প্যারামিলিটারি নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশে দারিদ্র্য ও দুর্নীতিকে সামনে রেখে প্রচার চালিয়েছেন মোদি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলকে ইস্যু করে প্রচার চালিয়েছেন রাহুল গান্ধি ও অখিলেশ যাদব। এই আবহেই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট।
নির্বাচনের আগে টাইমস নাউ ও ভিএমআর-এর এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পাবে ২০২টি আসন। শতাংশের বিচারে ওই ভোট ৩৪ শতাংশ। ২০১২ সালের নির্বাচনে ১৫৫টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। জরিপে আরো বলা হয়, কংগ্রেস-সমাজবাদী জোট পাবে ১৪৭টি আসন, যা গত বিধানসভা নির্বাচনে পাওয়া আসনের চেয়ে ১০৫টি আসন কম। আর মায়াবতীর ভারতীয় সমাজবাদী পার্টি পাবে মাত্র ৪৭টি আসন। ২০১২ সালের চেয়ে ৩৩টি আসন কম। তবে ভোটের লড়াইয়ে আগে থেকে কিছু বলা মুশকিল। শেষ মুহূর্তে সংখ্যালঘু ভোট ট্রাম্পকার্ড হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। আর সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস-সমাজবাদী জোট মোদির সামনে আগামী দিনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কালো টাকা নিয়ন্ত্রণের নামে মোদির ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণায় উত্তর প্রদেশের হতদরিদ্র মানুষকে যে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে, তার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনেও।
দিল্লি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর ফেলো অশোক মালিক বলেন, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যটিতে সরকারের জনসমর্থন যাচাই হবে নোট বাতিলের নীতি সেখানে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তার ভিত্তিতে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রেও এই রাজ্যে শক্ত অবস্থান দরকার মোদির। তাই এবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তারা বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও যে ছেড়ে দেবে না, তা একেবারে স্পষ্ট। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের হচ্ছে মুজাফ্্ফরনগর, শামলি, মেরঠের মতো জেলায়। এই তিনটি জেলায় দু’বছর আগে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। ফলে ওইসব জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আধা-সামরিক বাহিনীর ছয় হাজার সদস্য। এছাড়া পুলিশ টহলও বাড়ানো হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিবিসি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।