মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মুসলিম প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আবেদন নিয়ে ট্রাম্প হয়তো আর সুপ্রিম কোর্টে নাও যেতে পারেন। ফ্লোরিডাতে যাবার পথে তিনি সাংবাদিকদের আভাস দিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টে যাবার বদলে তিনি বরং অভিবাসীদের জন্য নতুন করে আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন হবে তা পরিষ্কারভাবে না বললেও ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগের নিষেধাজ্ঞা খুব সামান্যই পরিবর্তিত হবে। তবে ওই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিয়েবাস শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াসহ আইনি প্রক্রিয়ার সকল সম্ভাবনাই খোলা রয়েছে। স্থগিতাদেশের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রিয়েবাস আরও বলেন, মার্কিন জনগণকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতেই নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, ফ্লোরিডাতে যাবার সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মুসলিম অভিবাসীদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা এই লড়াইয়ে জিতবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, সময়টা একটু বেশি লাগছে। তিনি আরো বলেছেন, একেবারে নতুন করে আরেকটা আদেশ জারি করা থেকে শুরু করে আমাদের সামনে আরো অনেক পথই খোলা আছে। নতুন আদেশ সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট করে না বললেও ট্রাম্প এক ধরনের আভাস দিয়ে বলেছেন এটা খুব সামান্যই পরিবর্তিত হবে। ইরান, ইরাক, সিরিয়াসহ মুসলিম সাতটি দেশের নাগরিকদের সাময়িকভাবে ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখে সেসব দেশের নাগরিক ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে সিয়াটেল-এর আদালতের আদেশে স্থগিত হয়ে যায় ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা। আর আদালতের রুলিংয়ের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের আপিল আবেদনও গত বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায়। এই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাম্পের সামনে সুপ্রিম কোর্টে যাবার পথ খোলা ছিল। কিন্তু মার্কিন গণমাধ্যম এই আভাস দিচ্ছে যে- ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে না গিয়ে অভিবাসীদের জন্য নতুন এক নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে পরবর্তী চার মাসের জন্য সব ধরনের শরণার্থী কার্যক্রম বন্ধ করেন। এতে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের (ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন) নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে সিয়াটলের এক বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও বৃহস্পতিবার সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন। আপিল আদালতের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে সুপ্রিম কোর্টে না গিয়েও ট্রাম্প নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার ফ্লোরিডাতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, আমরা সন্দেহাতীতভাবে এ লড়াইয়ে জিতবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, এতে কিছু বেশি সময় লাগছে। তবে একেবারে নতুন করে আরেকটা আদেশ জারি করাসহ আরও অনেক পথই আমাদের সামনে খোলা আছে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।