মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর থেকেই নতুন নতুন আইন প্রণয়ন শরু হয়। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি মিশরের রাজনৈতিক দল ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ বিস্তৃতির আশঙ্কা করছেন সিআইএর বিশ্লেষকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো ওই কেন্দ্রীয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক গোপন নথি থেকে এ কথা জানতে পেরেছে। ওই নথিতে সিআইএ বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ব্রাদার হুড নিষিদ্ধ হলে মিশরের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, চরমপন্থী মতাদর্শে মদদ এবং বৈদেশিক হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরির মতো ভয়াবহ ভূমিকা নিতে পারে। ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে মুসলিম বিশ্বকে। তবে এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস কিংবা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। সিআইএ নিজেও এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের পরিকল্পনার খবর জানানো হয়। ওই দুই সংবাদমাধ্যম জানায়, এ ব্যাপারে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন; এমন সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে থেকে ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেছেন তারা। খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা এবং মুখ্য পরিকল্পনা প্রণয়নকারী স্টিভ ব্যানন মনে করেন, আধুনিক জঙ্গিবাদের ভিত্তিভূমি আখ্যা দিয়েছেন। নিষিদ্ধ করতে বলেছেন সংগঠনটিকে। সংক্ষিপ্ত ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সিআইএ। হোয়াইট হাউসের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে ব্রাদারহুডের ওপর নিষেধাজ্ঞা-পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত এক নথি অভ্যন্তরীণভাবে প্রকাশ করেছে সিআইএ। পলিটিকো জানিয়েছে, একজন মার্কিন কর্মকর্তাই ওই সংক্ষিপ্ত গোয়েন্দা ভাষ্যের অনুলিপি তুলে দিয়েছেন তাদের হাতে। ওই নথি থেকে জানা যায়, ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করতে গিয়ে ব্যাপক বাধার মুখে পড়তে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রকে। সিআইএ’র বিশ্লেষকরা ওই সংক্ষিপ্ত গোয়েন্দা ভাষ্যে এই আশঙ্কার কথা বলেছেন। ওই সংক্ষিপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণভাবে প্রকাশিত হয় ৩১ জানুয়ারি। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্য রয়েছে। সংগঠনটি তাদের নীতিগত জায়গায় সহিংসতা পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়োছে। আল কায়েদা এবং আইএস-এর মতো সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে ব্রাদারহুদের। স্বীকার করা হয়, ব্রাদারহুড সদস্যদের খুব ছোট একটা অংশ সহিংসতায় জড়িত। এরা প্রায়শই কঠোর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং বেসামরিক সংঘাতের ব্যাপারে কথা বলে। জর্দান, কুয়েত, মরক্কো, তিউনিশিয়ার মতো দেশগুলোতে ব্রাদারহুডের শাখা আছে। তবে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন সিআইএর বিশ্লেষকরা। ওই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে তারা আশঙ্কা জানান, ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মিশরের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। চরমপন্থার মতাদর্শকে মদদ জোগাবে, বৈদেশিক হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে, এবং মুসলিম দুনিয়াকে ক্ষুব্ধ করে তুলবে। ওই নথিতে বলা হয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুড বিশ্বজুড়ে তাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছে। পূর্ব-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল, আরবীয়দের একাংশ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের একটা বড় অংশের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়ে ইতিবাচক ধারণা প্রচলিত রয়েছে। যদি মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে ইসলামী ধারায় আইএস-আলকায়েদা বিরোধী অবস্থান দুর্বল হবে। পলিটিকো,ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।