Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২২ বছর বসবাস করার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোর নাগরিক বিতাড়িত

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে গত ২২ বছর ধরে বসবাস করা মেক্সিকোর এক নারীকে বিতাড়িত করা হয়েছে। গুয়াদালুপে গার্সিকা দে রায়োস নামে ৩৬ বছর বয়সী ওই নারী মাত্র ১৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে হাজিরা দিতে এলে গুয়াদালুপেকে আটক করা হয়। গুয়াদালুপের বিতাড়ন আটকাতে গত বুধবার রাতে অভিবাসন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে দুই সন্তানের জননী গুয়াদালুপেকে অ্যারিজোনার নগালেস থেকে দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে বের করে দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা তাকে বহনকারী গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধার মুখে তাদের পিছু হটতে হয়। গুয়াদালুপের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জ্যাকুলিন বলেন, দেখুন আমার মা ওই ভ্যানে...এটা ব্যাখ্যাতীত। এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৮ সালে গুয়াদালুপের কর্মস্থলে এক অভিযানে গ্রেপ্তার হন হন তিনি। ভুয়া কাগজপত্র তৈরির জন্য নিজের পরিচয় গোপন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। কিন্তু প্রতি ছয় মাসে স্থানীয় আইসিই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার শর্তে তিনি এতো দিন অ্যারিজোনায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু বুধবার পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তিনি আইসিই কার্যালয়ে হাজিরা দিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। তার মাত্র একদিন আগে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই আদেশ বলা হয়, বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী যারা কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতাড়ন করা হবে। গুয়াদালুপের আইনজীবী হতাশা ভার কণ্ঠে বলেন, আমরা এখন একটি নতুন যুগে বাস করছি, অভিবাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের যুগ এটা। এ বিষয়ে আইসিই মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, গার্সিয়া এর আগে পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশ ধারণের অপরাধে দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন। তাকে বিতাড়নের জন্য আদালতের আদেশের অপেক্ষা ছিল, যেটা ২০১৩ সালের জুলাইয়ে চূড়ান্ত হয়ে যায়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, সেখানেও তার যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি মেলেনি। অভিবাসন আদালত থেকে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আদেশ এসে গেছে তাদের খুঁজে বের করে বিতাড়নের কাজ শুরু করবে আইসিই। আইসিই মুখপাত্র বলেন, গার্সিয়া এর আগে পরিচয় গোপন করে বসবাসের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাকে বিতাড়নের জন্য আদালতের আদেশ ২০১৩ সালেই চূড়ান্ত হয়ে যায়। এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। তিনি জানান, ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, সেখানেও গার্সিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি মেলেনি।  বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ