পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী নরসিংদী থেকে : ‘পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে, এসেছে ফাগুন মাস’। এই পংতিটি একটি গানের কলি। অর্থাৎ ফাল্গুন মাস এলেই পলাশ ফুল ফুটে। ফুটে শিমুলসহ হরেকরকম ফুল। শুরু হয় বসন্তকাল। ফাগুন মাসের প্রায় মধ্যভাগ থেকে পলাশ ফুল ফুটতে শুরু করে। শীতকালে পলাশ ফুল গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্ত বা ফাগুনের প্রারম্ভে নতুন পাতার কুড়ি গজিয়ে ফুল ফুটতে শুরু করে। সারা ডাল থোকা থোকা টকটকে লাল ও হলদেটে লাল ফুলে ভরে যায়। যে বাগানে পলাশ ফুল ফুটে সে বাগান লাল ফুলে ভরে গেলে মনে হয় যেন বাগানে আগুন লেগেছে। কিন্তু এবার দেখা গেছে প্রকৃতিতে এক বিশাল বৈপরীত্য। মাঘ মাস হচ্ছে তীব্র শীতের মাস। গ্রামে-গঞ্জে প্রবচন রয়েছে ‘মাঘ মাইয়া জারে বৈশের শিং লড়ে’। এ বছর মাঘে কোন শীত ছিল না। মাঘের ৭ তারিখের পর হঠাৎ শীত উধাও হয়ে যায়। অনেকের ধারণা ছিল মাঘ মাসে সাধারণত শীত হঠাৎ উধাও হয়ে আবার হঠাৎ জেঁকে বসে। এবারো হয়তো তাই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মাঘের ৭ তারিখের পর শীত আর ফিরে আসেনি। লোকজন বলছে এবছর শীত আধা পথে এসে ফিরে গেছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে আগাম বসন্ত। মাঘের মধ্যভাগ থেকেই ক্ষণে ক্ষণে শুরু হয় দক্ষিণা মলয়। যা শীতকে উড়িয়ে নিয়ে যায় শীতের দেশে। প্রকৃতিতে দেখা দেয় ব্যাপক পরিবর্তন। পৌষের মধ্যভাগেই এ বছর আমের মুকুল ফুটতে শুরু করে। কোথাও কোথাও দেখা দেয় জাম ও লিচুর মুকুলও। বনে বনে বিভিন্ন গাছগাছালীতে ফুল ফুটতে শুরু করে। মাঘের মধ্যভাগে এ বছর ফুটতে শুরু করেছে চোখ ধাঁধানো লাল ফুল পলাশ। শীতকালেই বনে বনে দেখা দিয়েছে ফাগুনের আগুন পলাশ ফুলের সমাহার। রক্তরাঙ্গা এই ফুল দেখে থমকে দাঁড়ায় পথিক। এখন কোন ঋতু? শীত না বসন্ত। অনেকে ভুল করে ভেবে নেয় এটা বসন্ত। শীতের প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকে প্রকৃতির আগ্রাসন বলে মনে করছে অনেকেই। কোন আগ্রাসনই যেমন মঙ্গলজনক নয় তেমনই শীতের প্রকৃতিতে বসন্তের আগ্রাসনও মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। কিন্তু কেন এই বৈরীতা। প্রকৃতিপ্রেমী লোকজন বলছে প্রকৃতির রক্তবাহী নালী হচ্ছে নদ-নদী, খাল-বিল। স্বাধীনতার উত্তরকালে নদী আগ্রাসনের শিকার হয়েছে আমাদের ভাটির প্রকৃতি। নদী আগ্রাসনে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর অববাহিকার প্রকৃতি ধীরে ধীরে বিবর্ণ আকার ধারণ করছে। আজকের প্রকৃতির এই বিবর্তিত রূপ একদিনের নয়। দীর্ঘ আগ্রাসনের পরিণতিতে প্রকৃতি হারাচ্ছে এর স্বকীয়তা। অদূর ভবিষ্যতে এই বিবর্ণ প্রকৃতি পরিণত হবে এক ভয়াল মরুতে। অকাল বসন্ত এরই ইংগিতবহ বলে মনে করছে সচেতন মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।