পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ আমিষের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে ডাল জাতীয় উৎপাদনশীল পণ্য থেকে। রাজবাড়ী সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলায় এবার মসুর ডালের চাষ হয়েছে ১১ হাজার ১ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ১ শত হেক্টর জমি চাষ বেশি হয়েছে। ডাল চাষে খরচ কম ও বাজার দর বেশি পাওয়ায় চাষিরা দিনদিন মসুর ডালের চাষ বাড়াচ্ছেন বলে জানান রাজবাড়ী জেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর উপজেলার জেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের কৃষক আ: রশিদ ব্যাপারী তিনি গত বছর এক বিঘা জমিতে মসুর ডালের চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর তিনি অন্য ফসল কমিয়ে তিন বিঘা জমিতে মসুরের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে বাজারে মসুর ডালের দামও বেশি, তাই বেশি লাভের আশা করছেন তিনি। কৃষকেরা জানান মসুর ডাল চাষে সাধারণত চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, মজুরে খরচ হয় বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ ডাল উৎপাদন হয়। আর প্রতিমণ ডাল তিন থেকে চার হাজার টাকা বাজার দর পাওয়া যায়। তাতে বিঘা প্রতি পনের থেকে ষোলো হাজার টাকা বিক্রি করতে পারেন কৃষকেরা। রাজবাড়ী জেলা কৃষি কর্মকর্তা শ্রী নিবাস দেবনাথ জানান, সাধারণত ডাল জাতীয় কৃষি পণ্যের বাজারদর বেশি, সেই হিসেবে মসুর ডালের বাজার দর কৃষকেরা বেশি পাওয়ায় এ বছর রাজবাড়ীতে এর আবাদ বেশি করেছে। এ বছর মসুর ডালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৭ হেক্টর, আর তা বেড়ে অর্জিত হয়েছে ১১ হাজার ১ শত ৪৫ হেক্টর। এ বছর ডাল জাতীয় দ্রব্যে রোগবালাই নেই তেমন একটা। প্রতি হেক্টরে এবার ১.২ মেট্রিকটন ডালের ফলন পাওয়া যাবে যা, গত বছরের তুলনায় বেশি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।