Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রামীণ জনপদে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া সম্ভাব্যরা ছুটছেন সিনিয়র নেতাদের কাছে

প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে : সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এই প্রথমবারের মতো সারাদেশে দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ঝিমিয়ে পড়া জাতীয় পার্টিও নিজ দল থেকে প্রার্থী দেবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে এমন ঘোষণার পূর্বে সব রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা নিজ নিজ পরিচয় দিয়ে এলাকায় বাসস্ট্যান্ড, হাটবাজার ও প্রতিটি পয়েন্টে ব্যানার, পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছে শুভেচ্ছা ও দোয়া চেয়ে ভোটারদের সাথে কৌশল ও মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান অব্যাহত রেখেছিল। সেই সাথে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি গ্রামে ভোটারদের খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলীয় মনোনয়নে একজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে বিধায় দলীয় প্রার্থীরা বর্তমানে ভোটারদের কাছে না গিয়ে মনোনয়ন পাবার জন্য নিজ দলের পদধারী নেতাদের সমর্থন পাবার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন। এদিকে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম মালেকের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকর কমিটির সব কর্মকর্তা সদস্য, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলালীগ, কৃষকলীগ ও ইউনিয়নের কৃষকলীগ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপিত ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত হন। আওয়ামী লীগ এককপ্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সভা করতে পারলেও দলীয় কোন্দল থাকার কারণে বিএনপি এখনো কোনো সভা করতে পারেনি। বিএনপিতে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি অঙ্গসংগঠনে রয়েছে একাধিক কমিটি। আওয়ামী লীগ একক প্রার্র্র্র্র্থী দিতে পারলেও বিএনপির জন্য হবে তা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে বিএনপির তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে একাত্মতা হবে না বলে অনেকেই তা মনে করছেন। বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকতে পারে বলে অনেকের মুখে তা শোনা যাচ্ছে। তারপরও নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ১৬টি ইউনিয়নেই প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যারাÑ ১নং ইউপি চৌহাট-স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান মুকছেদ (বর্তমানে মামলায় সাজা প্রাপ্ত), আ.লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, নাট্যকার সোহেল খান। বিএনপির এজিএম স¤্রাট। ২নং ইউপি আমতাÑ বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম খান লাভু, শওকত হোসেন। আ.লীগের সাবেক অভিনেতা ও চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, আরিফ হোসেন, জাতীয় পার্টির আব্দুস সামাদ। ৩নং ইউপি বালিয়াÑ বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মধু, খন্দকার শহিদুর ইসলাম শহীদ মাস্টার। আ.লীগের আহম্মদ হোসেন, খাইরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র নূরে আলম। ৪নং ইউপি যাদবপুরÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, ইউসুব আলী, আব্দুল মজিদ, বিএনপির নবী উল্লাহ্। স্বতন্ত্র- আল মামুন। ৫নং ইউপি বাইশাকান্দাÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর মিজানুর রহমান মিজান, মুক্তিযোদ্ধা মেরাজ খান, অ্যাডভোকেট বেপারী আল মামুন, মতিয়ার রহমান সিকদার, মফিজুর রহমান, আমীর হামজা। স্বতন্ত্র মোয়াজ্জেম হোসেন। বিএনপির প্রার্থী নেই। ৬নং কুশুরাÑ বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান জামিল হোসেন, আব্দুল হাই। আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, আক্তারুজ্জান তারু, এনায়েত হোসেন এনা, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল বাছেদ। ৭নং ইউপি গাঙ্গুটিয়াÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, কাদের মোল্লা, হাজী আমজাদ হোসেন, আওলাদ হোসেন, বিএনপির সুনিল সাহা, মোজাম্মেল হোসেন, মফিকুল ইসলাম। ৮নং ইউপি সানোড়াÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, জহিরুল আলম, শাহাদাত হোসেন চান মিয়া, আব্দুল খালেক। বিএনপির আব্দুর রহমান আছর উদ্দিন, বজলুর রহমান। ৯নং ইউপি সূতিপাড়া- বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান চৌধুরী রুমা। আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হবি, রেজুয়ার রহমান রেজু, রবিউল করীম, রেজাউল করিম রাজা, রেজাউল করিম সেলিম। জাতীয় পার্টি দেওয়ান আনিসুর রহমান শাহজাদা ও গোলাম নাজমুল হক। ১০নং ইউপি সোমভাগÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার আলী, মোতালেব হোসেন, আব্দুল আলীম। বিএনপির আবুল হোসেন, ইদ্রিস আলী, ফরহাদ হোসেন। ১১নং ইউপি ভাড়ারিয়াÑ বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান সোনাম উদ্দিন। আ.লীগ আব্দুল হালিম, শাহ আলম, মাসুদ, স্বতন্ত্র সুলতান হোসেন। ১২নং ইউপি ধামরাই সদরÑ বিএনপি বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, লোকমান হাকিম, হাজী কামাল উদ্দিন, মহসিন উজ্জামান। আ.লীগ শরিফুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন। ১৩নং ইউপি কুল্লাÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান কালীপদ সরকার, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ফারুক হোসেন। বিএনপির আব্দুল মতিন, আক্কাস আলী, হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির দানেজ আলী। ১৪নং ইউপি সূয়াপুরÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব, ওবাইদুল্লাহ খান। বিএনপি হাবিবুর রহমান তুলা, জুবাইয়ের, আইনুন নাহার রেলী, নাদের হোসেন। স্বতন্ত্র কাজী গোলাম গাউস তপন। ১৫নং ইউপি রোয়াইলÑ বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, ওয়াসিম হোসেন। আ.লীগ ইয়াসিন আরাফাত, আবুল কালাম শামসুদ্দিন মিন্টু, কাজীম উদ্দিন, মশিউর রহমান নান্নু। ১৬নং ইউপি নান্নারÑ আ.লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল বাশার, জাকির হোসেন, কামাল উদ্দিন। বিএনপির মতিউর রহমান মতি, সোহরাব হোসেন। দলীয় মনোনয়ন পাবার পর আ.লীগের প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বিএনপির প্রার্থীদের মাঠে থাকাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণ জনপদে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া সম্ভাব্যরা ছুটছেন সিনিয়র নেতাদের কাছে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ