Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আধিপত্যের লড়াইয়ে সম্প্রসারণ করছে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আধিপত্যের লড়াইয়ে এশিয়া মহাদেশের পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ চীন ও ভারত ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। কৌশলগত দ্বন্দ্ব ও আধিপত্যের লড়াইয়ে দুই দেশই পরমাণু অস্ত্রের ভা-ার সম্প্রসারণ করছে। সম্প্রতি চীনের অস্ত্রভা-ারে যুক্ত হয়েছে একটি ভয়ানক অস্ত্র। ডব্লিউইউ-১৪ হাইপারসনিক ওয়েপন সিস্টেম নামের এই অস্ত্রটি নিয়ে অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভারত। ভারতের হিন্দি দৈনিক জাগরণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি ডব্লিউইউ-১৪ হাইপারসনিক ওয়েপন সিস্টেম নামের ভয়ঙ্কর অস্ত্রটির ইতোমধ্যে সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে চীন। শব্দের থেকেও ৫-১০ গুণ গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৪০ থেকে ৭ হাজার ৬৮০ মাইল অতিক্রম করতে পারে। প্রচ- গতিসম্পন্ন হওয়ায় অস্ত্রটি মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। আর ২০ মিনিটের মধ্যে বেঙ্গালুর ধ্বংস করে দিতে পারবে। কিন্তু গতির কারণে এটি রাডারেও ধরা পড়বে না বলে জানা গেছে। খবরে বলা হয়, চীনের কাছে এই অস্ত্রটি ছাড়াও আরো চারটি অস্ত্র রয়েছে, যা নিয়ে ভারতকে ভাবিয়ে তুলছে। এর মধ্যে অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী অন্যতম। তিনটি অত্যাধুনিক এই রণতরী করছে চীন। এই রণতরী ৭৫টি জঙ্গিবিমান বহনে সক্ষম। যা ভারতের কাছে নেই। চীনের কাছে সেকেন্ড আর্টিলারি কর্পস নামের চীনের সেনাবাহিনীর ভয়ঙ্কর শাখায় রয়েছে ডিএফ-১৫সি, ডিএফ-২১-র মতো কয়েকশ’ ব্যালিস্টিক মিসাইল। এছাড়াও রয়েছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। ১০ হাজার ৮৭ মাইল থেকে শুরু করে ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলগুলো ভারতের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় সেনার কাছে এই মুহূর্তে কোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা পদ্ধতি নেই। তাই যুদ্ধ বাঁধলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক অস্ত্র টমাহক ক্রুজ মিসাইলের আদলে তৈরি ডিএইচ-১০ বা ডং হাই-১০ ক্রুজ মিসাইল রয়েছে চীনের অস্ত্র ভা-ারে। ৯৪১ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এটি। রাডারে প্রায় অদৃশ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাটি, আকাশ ও সমুদ্র থেকেও ছোড়া যায়। প্রায় এক হাজার পাউন্ড ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে এই মিসাইলটি। চেঙ্গডু জে-২০ নামের এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি বিমান তৈরী করছে চীন। যা যে কোনো দেশের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে চীনা বিমান বাহিনীতে যুক্ত হবে এই বিমানটি। স্ট্রিলথ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই বিমানটি তিব্বতে মোতায়েন করতে পারে চীন। যুদ্ধ শুরু হলে তিব্বত থেকে ভারতে হামলা চালাতে পারে এই বিমানগুলো। হিন্দি দৈনিক জাগরণ, ওয়েবসাইট।  



 

Show all comments
  • রবি ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৮ এএম says : 1
    িআমরা সংঘাত চাই না।
    Total Reply(0) Reply
  • শান্তিময় সাহা ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৯ এএম says : 0
    একটা যুদধ দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • সাহা ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম says : 1
    এই দুই্ দেশ যুদ্ধের জন্য পাগল হয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • শরিফ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম says : 0
    আমরা যুদ্ধ চাই না।
    Total Reply(0) Reply
  • রবিউল ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৪৩ এএম says : 0
    গত ৯ জানুয়ারি ডব্লিউইউ-১৪ হাইপারসনিক ওয়েপন সিস্টেম নামের ভয়ঙ্কর অস্ত্রটির ইতোমধ্যে সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে চীন। শব্দের থেকেও ৫-১০ গুণ গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৪০ থেকে ৭ হাজার ৬৮০ মাইল অতিক্রম করতে পারে। প্রচ- গতিসম্পন্ন হওয়ায় অস্ত্রটি মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। আর ২০ মিনিটের মধ্যে বেঙ্গালুর ধ্বংস করে দিতে পারবে। কিন্তু গতির কারণে এটি রাডারেও ধরা পড়বে না বলে জানা গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • abir ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৪৪ এএম says : 0
    যুদ্ধ লাগলে ভারত ১ মাসও টিকতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • সমি ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৪৬ এএম says : 0
    গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে না। তারা তৃতীয় দেশে ছায়া যুদ্ধ করে। ভারত পাকিস্তান ছায়া যুদধ বাংলাদেশে করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • nurul ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:৫৬ পিএম says : 0
    no good not nice faiting
    Total Reply(0) Reply
  • shamsulhoque ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:২০ এএম says : 0
    hadish sharife ace boro duita (two) desh juddhao na kora pojontha kiyamat hobe na.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ