Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীনসাগর নিয়ে ম্যাটিসের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে চীন

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীনসাগরে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত- মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের এ পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এ অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকা- চীনের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। ম্যাটিসের এ বক্তব্যকে স্বাগত জানায় চীন। প্রসঙ্গত গত শনিবার টোকিওতে বক্তব্য রাখার সময় ম্যাটিস অঞ্চলটিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর আস্থা হারানোর জন্য চীনকে দায়ী করেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ চীনসাগরের বিরোধপূর্ণ সীমায় মার্কিন সামরিক মহড়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং এব্যাপারে সবার মধ্যে খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন ম্যাটিস। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী দক্ষিণ চীনসাগরে সামরিক কার্যক্রম চালাতে পারে বা নৌবাহিনীর অবরোধ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা। এমন একটি সময় দক্ষিণ চীনসাগর নিয়ে এ মন্তব্য করলেন ম্যাটিস। ম্যাটিসের মন্তব্যের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দক্ষিণ চীনসাগরের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ম্যাটিস যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য জোর দিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবিদার। সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, অঞ্চলটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। লু বলেন, ম্যাটিসের বক্তব্য চীন ও এ অঞ্চলের সবগুলো দেশের সাধারণ স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ অঞ্চলের বাইরের দেশগুলো এ যৌথ স্বার্থ ও চাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। উল্লেখ্য, বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীনসাগরের অধিকাংশ নৌসীমার ওপর দাবি জানিয়ে আসছে চীন। একই দিকে প্রতিবেশী তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনাই এ নৌসীমার ওপর নিজ নিজ দাবি জানিয়ে আসছে। কৌশলগত সমুদ্রপথ, তেল ও গ্যাস মজুদের পাশাপাশি সমৃদ্ধ মৎস্য আহরণ উৎস থাকায় এ অঞ্চলটি দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খবরে বলা হয়, ম্যাটিসের এ বক্তব্যের আগে দক্ষিণ চীনসাগর নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন নতুন মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সিনেটে পদ চূড়ান্তকরণের শুনানিতে টিলারসন বলেন, দক্ষিণ চীনসাগরে চীন যে কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তুলেছে, সেখানে দেশটিকে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে না। একই সঙ্গে হোয়াইট হাউস বিরোধপূর্ণ সীমায় আন্তর্জাতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্রের এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হঠকারী আচরণ চীনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি করছে বলে সে সময় সতর্ক করে দেশটি। রয়টার্স।
 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ