পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শক্তিশালীকরণে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত : রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন : ঠেঙ্গারচর বিষয়ে আরও জানতে চায় ইইউ
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তা শক্তিশালীকরণে আগামীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সহায়তা চাইলে সেটি তারা বিবেচনা করবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতেও নজর রয়েছে তাদের। আধুনিক নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার কোনো সহযোগিতা চাইলে তাও দিতে চায় ইইউ। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন তার নির্বাচিত কয়েকটি মিডিয়া প্রতিনিধির সাথে নিজ বাসভবনে আলাপকালে এ কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
পিয়েরে মায়াদুন বলেন, ইইউ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ইইউ প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং বর্তমানে কোনো প্রকল্প নেই। যদি নতুন নির্বাচন কমিশন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দাতা সংস্থা এবং বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে কোনো নির্দিষ্ট অনুরোধ করে, তবে অবশ্যই আমরা সেটি বিবেচনা করব।
মায়াদুন বলেন, ইইউ ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাত বছরে বাংলাদেশকে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো অনুদান হিসেবে দেবে। ইতোমধ্যে ২০১৬ সালে চারটি বৃহৎ প্রকল্পে ১২৬ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হয়েছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি দৃঢ় করার জন্য ইউ সবসময়ে সমর্থন দিয়ে থাকে।
সুশীল সমাজ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি এনজিও-ফ্রেন্ডলি দেশ হিসেবে পরিচিত এবং আমরা আশা করি, এই পরিচয় বজায় থাকবে। তিনি ফরেন ডোনেশন অ্যাক্টের সাম্প্রতিক পরিবর্তনকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গার চরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এ প্রক্রিয়ায় তাদের সহায়তার আগ্রহ আছে। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান। বিশেষ করে কখন, কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি তারা জানতে চান।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে পিয়েরে মায়াদুন বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সুনির্দিষ্ট উপায়ে আমরা সমর্থন করে আসছি। জাতিসংঘ কিংবা মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেখানেই যখন এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাই, আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানাই। রোহিঙ্গারা যে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে, তা থেকে তাদের পরিত্রাণের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সাহায্য সংস্থাকে সমর্থন করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যেভাবে চাইবে, সেভাবেই পাশে থাকবে ইইউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।