Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনিয়োগ কমেনি, দাবি অর্থমন্ত্রীর

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিগত বছরের তুলনায় এবার বিনিয়োগ আরও বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের এমপি মো. সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ কমে গেছে এমন তথ্য সব ভুল...সব ভুল। দেশে বিনিয়োগ কমেনি। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নকর্তা বলেন, আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কমে গেছে। আগে বিনিয়োগকারীদের ইনসেনটিভ দেয়া হতো, সেসব সুযোগ বর্তমানে বন্ধ। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে ইনসেনটিভ দেয়া হবে কিনা? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল প্রশ্নের সঙ্গে তার সম্পূরকের  কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরেও বলছি, উনার (প্রশ্নকর্তার) তথ্য সব ভুল...সব ভুল, কারণ ইনসেনটিভ এখনও আছে। আর বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ এই বছরে ভালোভাবেই হচ্ছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক উচ্চহারে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ ২১ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নাসিমা ফেরদৌসীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমান (নভেম্বর ২০১৬) সব ব্যাংক ও  আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণিকরণ বিবরণী মোতাবেক বর্তমানে (সেপ্টেম্বর-২০১৬) ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অপরদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।  অর্থাৎ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩, দেউলিয়া আদালত আইন ১৯৯৭ ও পাবলিক ডিমান্ড রিকোভারি অ্যাক্ট, ১৯১৩ রয়েছে। খেলাপি বা শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক টাস্কফোর্স সেল রয়েছে।  উক্ত সেলের  মাধ্যমে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে দায়েরকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।  
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও তার বিভিন্ন শাখা অফিস ব্যাংকারদের সঙ্গে বিভিন্ন সমন্বয় সভায় ব্যাংকিং খাতের শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয় ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা নির্দেশনা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। অর্থ-ঋণ আদালন আইন ২০০৩ এর অধীনে আদালতের বাইরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমেও  শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মরক সম্পাদনের মাধ্যমে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ