মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন কর্মকা-ে এবার খোদ রিপাবলিকান ভোটাররাই বিগড়ে গিয়েছেন। ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে দেয়া বিভিন্ন টুইট ইতোমধ্যেই ‘ট্রাম্প রিগ্রেটস’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, ‘হিটলারের মতো হবেন না’। মনে করা হচ্ছে ‘অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা’ জারির কারণেই মূলত ট্রাম্পকে ভোট দেয়া লোকেরা অনুশোচনা করছেন। নির্বাচনের আগে যারা ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তারাই এখন তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, পৃথিবীজুড়ে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে ক্ষুব্ধ লোকেদের পাশাপাশি তার সমর্থকেরাও যে তার প্রতি খুব মুগ্ধ নয়, তা এসব টুইট থেকে বেশ বোঝা যাচ্ছে। ‘ট্রাম্প রিগ্রেটস’ টুইটার অ্যাকাউন্টটি আসলে বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের সমর্থকদের দেয়া টুইটের একটি সংকলন বলা যেতে পারে। একসময় যারা নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের পক্ষে সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের কাজকর্র্মের জন্য অনুতপ্ত ভোটারদের বিভিন্ন টুইটই এখানে তুলে ধরা হচ্ছে। অভিবাসন নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত একজন ট্রাম্পের এক ভোটারকে বলেন, ‘তাকে হিটলারের মতো আচরণ করতে নিষেধ করো’, এর মধ্য দিয়েই মূলত এর সূচনা হয়। এর আগেও অবশ্য ট্রাম্পের বিভিন্ন কাজে অনেক ভোটারই তাকে ভোট দেয়ার জন্য মর্মাহত বলে জানিয়েছিলেন।
‘দ্য ট্রাম্প রিগ্রেটস’ টুইটার অ্যাকাউন্টটি কানাডার এক শিক্ষার্থী এরিকা বাগুমা’র খোলা। ট্রাম্পের প্রতি রাগী ভোটারদের টুইটগুলো বেশ সময় নিয়েই তিনি এখানে প্রকাশ করেন।
এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আভিবাসীদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি এবং শরণার্থীদের বিতারণের জন্য নির্বাহী আদেশ দিতে আমি আপনাকে ভোট দিইনি।’ হ্যাশট্যাগে যুক্ত করা হয়েছে ‘ক্রেতাদের অনুশোচনা’। আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘হিটলারের মতো আচরণ করা বন্ধ করো। তোমাকে সবভাবে সমর্থন করি, কিন্তু তোমার কর্মকা- আমাকে লজ্জিত করছে।’ টুইটে এক নারী অনুশোচনা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনাকে ভোট দেয়ার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আপনার কর্মকা- আমার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ এরকম আরও অসংখ্য ভোটার টুইটারে অনুতপ্ত হয়ে অসংখ্য টুইট করেছেন। মিস বাগুমা জানান, ট্রাম্প যখন ঘোষণা দেন হিলারীর ই-মেইল কেলেঙ্কারী তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে তিনি নতুন করে আর কোনও তদন্ত শুরু করবেন না, তখনই এই টুইটার অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়। তিনি সিটিভি নিউজকে বলেন, ‘আমি এরপর থেকেই টুইটারে ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছ থেকে ভোট দেয়ার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করা অনেক টুইট দেখি। আমি ভাবি যদি একটা মাত্র ইস্যুতেই এত অনুশোচনা প্রকাশ পায়, তবে আরও অনেক ঘটনায় আরও আরও অনুতপ্ত ভোটারদের দেখা পাবো। তাই আমি বিষয়টি নিয়ে লেগে থাকি, পুরো ঘটনা অনুসরণ করতে থাকি।’ সূত্র: মিরর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।