মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির ইসলামিক সেন্টার অব কলম্বিয়ায় কয়েক হাজার মার্কিনি সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিশ^ব্যাপী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইসলামিক সেন্টারটি হলুদ রংয়ের ফুলে ঢেকে দেয়। এদিকে, ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে লন্ডন ও প্যারিস। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ৪০ থেকে ৫০ হাজার জনতা বিক্ষোভ করেছে লন্ডনের রাজপথে। অপরদিকে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, অবশ্যই ঘৃণা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে সফল হবেন না ট্রাম্প। তারা সমস্বরে উচ্চারণ করেন আমাদের থামিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের কণ্ঠকে রোধ করা যাবে না। তাছাড়া প্রতিবাদকারীরা শরণার্থী নিষেধাজ্ঞা ও ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে রক্তের দাগযুক্ত কালো ব্যানার নিয়েও প্রতিবাদে অংশ নেয়। খবরে বলা হয়, লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে। সেখান থেকে তারা মিছিলসহ এগিয়ে যান ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল নানা রকম প্ল্যাকার্ড। তাতে নানা রকম স্লোগান লেখা ছিল। এতে শরণার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া ইসলাম বিরোধিতার জন্য তীব্র সমালোচনা করা হয়। শনিবারের ওই বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলো। একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। এছাড়াও একই রকম বিক্ষোভ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ট্রাম্পের মুসলিম-বিরোধী সিদ্ধান্তটি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। ওই আদেশকে পক্ষপাতমূলক বলে বিবেচনা করছেন তারা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সরকার ট্রাম্পের ওই পদক্ষেপের সমালোচনা করতে দেরি করায়ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। অপর এক খবরে বলা হয়, প্রতিবাদকারীরা শরণার্থী নিষেধাজ্ঞা ও ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে রক্তের দাগযুক্ত কালো ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেয়। ব্যানারে লেখা ছিল, ট্রাম্পকে না। যুদ্ধকে না। এবং ট্রাম্প : বিশেষ সম্পর্ক? শুধু বল না। যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করতে ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ওই আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শরণার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন না। আর সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই আদেশ কার্যকর থাকবে। সেই সঙ্গে আগামী ৯০ দিন মুসলিম-প্রধান সাত দেশ ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। রয়টার্স, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, সউদি গেজেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।