Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুশ্চিন্তায় মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিষ্টানরাও

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মুসলমান নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর গত ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে দেশগুলোর মুসলমানদের বদলে সেখানকার খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ধমের্র ভিত্তিতে ট্রাম্পের এই বিভাজনের নীতিতে অসন্তুষ্ট এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুরাও। আদেশে ওই দেশগুলোতে শরণার্থী কর্মসূচিও চার মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে সব শরণার্থীর ক্ষেত্রে কর্মসূচি স্থগিতের মেয়াদ তিন মাস নির্দিষ্ট করা হলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের। সিরিয়ার দামেস্কে বসবাসকারী বাসসাম সাবাঘ নামের ৫৬ বছর বয়সী এক খ্রিস্টান আইনজীবী বলেন, শরণার্থী নিয়ে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ধর্মান্ধতায় পরিপূর্ণ, এটি আরববিশ্বে ধর্মীয় বৈচিত্র্য নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার তিনি কে? তাছাড়া, উত্তর ইরাকের আরেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বলেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা এখানে বিভাজন সৃষ্টি করবে। অপর এক খ্রিস্টান ব্যক্তি জানান, এই নির্বাহী আদেশের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে মানুষ আরো বিপদে পড়বে। গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টানদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে নির্যাতিত খ্রিস্টানদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে, সিরীয় খ্রিস্টানরা; যারা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন ট্রাম্প। তবে ইরাক, লেবানন, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশে অবস্থানকারী খ্রিস্টান নাগরিকদের ডজনখানেক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য দেখা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে কট্টরপন্থীদের নির্যাতনের ঘটনা সত্ত্বেও ট্রাম্পের বক্তব্যে অনেকেই চরম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিদেশি এক নেতার (ট্রাম্প) পক্ষপাতিত্বে সাম্প্রদায়িক বিভাজন পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হবে। ইরাকের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এবং সংসদ সদস্য ইয়োনাদাম কান্না বলেন, ‘আমরা বন্ধুদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম কিন্তু সেটা এখানে থাকার জন্য, আমাদের মাতৃভূমি থেকে আমাদের তুলে নেয়ার জন্য নয়। আমরা এখানে তিন হাজার বছর ধরে বসবাস করছি। এখানে খ্রিস্টানদের উপস্থিতিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা না হয় তাহলে ধমের্র ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের জনসংখ্যার বণ্টনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।’ ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ