পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালী ব্যুরো : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালু, যশোরের শামসুর রহমানসহ সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের শতাধিক সাংবাদিককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। সাংবাদিক নির্যাতনে বিএনপি বিশ্ব রেকর্ড করেছিল।
বিএনপির মুখে আওয়ামী লীগ শাসন আমলে সাংবাদিক নির্যাতনের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ধ্বনি ছাড়া আর কিছুই নয়। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল (শনিবার) বিকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির কত লোক মারা গেছে তার নাম-ঠিকানা দিয়ে বলুক। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা আহছান উল্যাহ মাস্টার, এইচএম কিবরিয়া, নাটোরের মমতাজ উদ্দিন দলের প্রথম সারির নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীসহ নির্যাতন করে ২১ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল বিএনপির শাসন আমলে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আইজিপি একেএম শহিদুল হক বিপিএম. পিপিএম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নব জ্যোতি খিশা, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্ল্যাহ খান সোহেল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
এর আগে সকালে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে নোয়াখালী জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সমাবেশের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, গুটি কয়েক অসৎ পুলিশ সদস্যের ঘুষ, দুর্নীতি ও অন্যায়ের দায়ভার পুরো বাহিনী নিতে পারে না। তিনি সম্প্রতি কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সাহসী অভিযান ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। শুধু পুলিশ ঘুষ খায় তা নয়, রাজনীতিকরাও ঘুষ খায়। টাকার বিনিময়ে চাকরির জন্য সুপারিশ, তদবির সবই করে রাজনীতিকরা। নির্বাচন এলে রাজনীতির অঙ্গন টাকায় বেচাকেনা হয়। রাজনীতিকদেরও সৎ হতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করার কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তাই দলীয় সাংসদসহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন সততাই শক্তি, সততাই মুক্তি। ত্যাগীদের মূল্যায়ন হবেই। দেশের দুই অভিন্ন শত্রু জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে জনপ্রনিধিদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। জঙ্গিবাদ ও মাদক কারো বন্ধু হতে পারে না। রাজনীতি নয় দেশকে বাঁচাতে হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিকদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।