Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনার খোঁজে চাঁদে খনন চালাবে মুন এক্সপ্রেস

২০ মিলিয়ন ডলারের আরেকটি তহবিল সংগ্রহের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সোনা ও প্লাটিনামের খনির খোঁজে চাঁদে খননকাজ শুরু করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের উদ্যোক্তা নাভিন জেইন। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ তার প্রতিষ্ঠান মুন এক্সপ্রেস এ খননকাজ শুরু করবে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এ ঘোষণা দেন নাভিন জেইন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত মুন এক্সপ্রেস এরইমধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল গঠন করেছে। চাঁদের বুকে প্রথম খননকাজের জন্য এখন ২০ মিলিয়ন ডলারের আরেকটি তহবিল সংগ্রহের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন মুন এক্সপ্রেস এর সহ-উদ্যোক্তা নাভিন জেইন। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরে রোবটিক স্পেসক্রাফট নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের জন্য মুন এক্সপ্রেসের এখন প্রয়োজনীয় মূলধন রয়েছে। পৃথিবী থেকে চাঁদে অবতরণের জন্য এখন পর্যন্ত মার্কিন সরকারের অনুমতি পাওয়া একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মুন এক্সপ্রেস। চাঁদের বুকে নিজেদের অভিষেক মিশনে এমজেড-১ রোভার পাঠাবে প্রতিষ্ঠানটি। এটি চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা এবং এইচডি ভিডিও ইমেজ সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই এমজেড-১ রোভারটি আকারে একটি ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে খুব বেশি বড় নয়। মুন এক্সপ্রেস-এর এ উদ্যোগ যদি সফল হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি গুগলের লুনার এক্সপ্রাইজ প্রতিযোগিতার বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হবে। ওই প্রতিযোগিতায় বলা হয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে যে প্রতিষ্ঠান প্রথম চাঁদে রোভার পাঠাতে অর্থায়ন করবে, ওই রোভারটি ৫০০ মিটার ভ্রমণ করবে এবং এইচডি ভিডিও পাঠাবে; সেই প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার বাবদ ২০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। গুগলের ওই ঘোষণার পর দুর্লভ ও মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে চাঁদে খননকাজ চালানোর এই পরিকল্পনা করে মুন এক্সপ্রেস। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য চাঁদে হিউম্যান স্পেস কলোনি তৈরিতে সহায়তার পরিকল্পনার করছে মুন এক্সপ্রেস। ২০২৬ সাল নাগাদ চাঁদে হলিডে অফার দেওয়ার বিষয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি। খবরে বলা হয়, মুন এক্সপ্রেসের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী বব রিচার্ডস। তিনি বলেন, এই বছরটা মুন এক্সপ্রেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক স্পেস ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা সন্ধিক্ষণ। বেসরকারি উদ্যোগের বাইরে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেও চাঁদের ব্যাপারে মনোযোগী হচ্ছে বিশ্বশক্তিগুলো। চলতি বছরেই চাঁদে গিয়ে নানা নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। অন্যদিকে, চাঁদের বুকে একটি স্পেস বেজ তৈরির পরিকল্পনা করছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রোসকসমস। সিএনবিসি, মিরর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ