Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে মুসলিম দেশের শিল্পীরা

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ওইসব দেশের শিল্পীরা বিপাকে পড়েছেন। এ ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুসলিম দেশের শিল্পীরা আসতে পারছেন না। আবার পুনরায় দেশে ফেরার সুযোগ হারানোর ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুসলমান শিল্পীরা বাইরের কোনও দেশেও যেতে পারছেন না। গত বুধবার ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর যারা বিপাকে পড়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন এবার অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক আজগর ফারহাদি। তিনি এবার অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না। যেখানে তার পরিচালিত সেলসম্যান ছবি এবারের সেরা বিদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে। এছাড়া ওই চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেত্রী তারানাহ আলিদোস্তি ইতোমধ্যে ট্রাম্পের এই নিধেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অস্কার বর্জন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী ইরানি সঙ্গীতবাদক সোরেনা সেফারি বলেন, এখন আমার আন্তর্জাতিক সব কনসার্ট বন্ধ করতে হচ্ছে। আমি জানি না যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের আর এই দেশে ঢুকতে দেবে কিনা। দেশের বাইরে তার আটটি কনসার্ট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। ন্যাশনাল হেরিটেজ ফেলোশিপজয়ী ইরানি সঙ্গীতশিল্পী রহিম আলহাজ তার আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রে সফর বাতিল করেছেন। সিরিয়ান সঙ্গীতযন্ত্র বাদক কিনান আজমে গত ১৬ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে আছেন। তার মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি যেতে পারছেন না। একইভাবে ইরানের ভাস্কর শাহপোর পৌয়ানও হংকংও বিপাকে পড়েছেন।
কুর্দি চলচ্চিত্র প্রযোজক মাহমুদ আক্কাস বলেন, মায়ামি চলচ্চিত্র উৎসবে হোসেইন হাসানের ছবি দ্য ডার্ক উইন্ড-এর দক্ষিণ আমেরিকায় প্রিমিয়ার শো ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করলে তাকে সমস্যা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এরপরেই তিনি ভিসার আবেদনপত্র তুলে নেন। গত বছরের এপ্রিল থেকে গ্রিনকার্ডধারী নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন কুয়েতি বংশোদ্ভূত ফিলিস্তিনের কানাডিয়ান কৌতুক অভিনেতা ইমান আল হোসেইনি। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর ২৮ জানুয়ারি তাকে এক ঘণ্টার মতো আটকে রাখা হয়। আটকের পর তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কানাডিয়ান মুসলিম কৌতুক অভিনেতা দিন ওবায়েদুল্লা বলেন, এই সময়টা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বাবা ফিলিস্তিনি শরণার্থী ছিলেন। ওই সময় ট্রাম্প যদি ক্ষমতায় থাকত, তাহলে আমার বাবা যুক্তরাষ্ট্রে আসতেন না, আমিও হয়তো এখানে থাকতাম না। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ