মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক কিশোর প্রচন্ড রক্তক্ষরণের কারণে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে; করুণ স্বরে সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছে। আর তার চারপাশ ঘিরে থাকা পথচারীরা তখন সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণে ব্যস্ত! ভারতের কর্নাটক প্রদেশের কোপাল জেলায় ব্যস্ত একটি সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা পড়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত মারা গেছে আনোয়ার আলি নামে ১৭ বছরের ওই কিশোর। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে সে বেঁচে যেত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসরা। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, বাইসাইকেলে থাকা আনোয়ার একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারাত্মক আহত হয়। ওই সময় তার চারপাশে থাকা পথচারীদের কাছে সে সাহায্যের জন্য আবেদন করে। কিন্তু পথচারীরা তা না করে বরং তার ছবি তুলছিল। অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। ঘটনা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সাহায্যে পথচারীদের অনীহার কারণ নিয়ে বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। ভারতে ২০১৫ সালে সড়ক দুর্ঘটনার পর শুধুমাত্র আহতদের সময়মত হাসপাতালে না নেওয়ার কারণে প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সমাজকর্মীরা মনে করেন, মানুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সমবেদনা কমে যাওয়ার কারণে এটা হচ্ছে; বিষয়টা আসলে তা নয়। বরং তারা মনে করেন, পুরো ব্যবস্থাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করার বিপক্ষে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকর্মী পিয়ুশ তেওয়ারি বিবিসিকে বলেন, “এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুতর হুমকি হলো পুলিশ।” “বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যদি আপনি দুর্ঘটনায় আহত কাউকে সাহায্য করেন তবে পুলিশ ধরেই নেয় আপনি অপরাধ বোধ থেকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।” এভাবে বিনা কারণে সন্দেহের তালিকায় চলে আসার পাশাপাশি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে সাক্ষী হিসেবে নাজেহাল হওয়ার ভয়ও মানুষ পায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া, আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক খরচ যোগাতে হবে কিনা সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেও মানুষ সাহায্যে এগিয়ে আসে না বলে মত পিয়ুশের। গত বছর মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। আদেশে বলা হয়, “ভালো সাহায্যকারীকে হয়রানির শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করা হবে।” কর্নাটকেও এ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্যকারীকে হয়রানি করা যাবে না। যদিও বেশির ভাগ মানুষ এই আইন সম্পর্কে অবগত নয় এবং পুলিশকে তারা বিন্দুমাত্র ভরসা করতে পারে না। বিবিসি,রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।