Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষ ইসির প্রত্যাশায় সবাই

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : দৃষ্টি সবার সার্চ কমিটির দিকে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী এবং সাধারণ মানুষ তো বটেই; দাতা দেশ, সংস্থা এবং ঢাকায় কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সার্চ কমিটি ‘নতুন ইসি’ গঠনে কোন ১০ ব্যক্তির নাম বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট বরবরে পাঠায়, সেটা দেখার জন্য। অফিস-আদালত, হাট-মাঠ-ঘাট, বাস-ট্রেন সর্বত্রই একই আলোচনাÑ ১৬ কোটি মানুষ প্রত্যাশিত ‘নিরপেক্ষ ইসি গঠনে’ সার্চ কমিটি ভূমিকা রাখতে পারবে তো? নাকি ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনে ‘সংবিধান সংশোধন বিশেষ কমিটি’র বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার পর ইচ্ছামতো ইসি গঠন করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? গতকালও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট যাকে উপযুক্ত মনে করে ইসি নিয়োগ দিবেন, আওয়ামী লীগ তাকেই সাদরে গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটির কাছে যে পাঁচজনের নাম পাঠিয়েছে, তা থেকে কাউকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না করা হলেও আমরা প্রতিবাদ করব না’। ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য সরকারের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্ত হোক সে প্রত্যাশা সবার।
‘সার্চ কমিটিকে প্রভাবিত করবেন না’ সরকারের প্রতি এ দাবি কার্যত জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। সর্বত্রই এ দাবি উঠেছে। যে ১৬ জন সিনিয়র নাগরিক সার্চ কমিটিকে মতামত দিয়েছেন, তারা বঙ্গভবনে দল নিরপেক্ষ যোগ্য ব্যক্তিদের নামের তালিকা পাঠানোর পাশাপাশি সরকারের প্রতি একই সুরে ‘সার্চ কমিটিকে’ প্রভাবিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতির সংগঠনের প্রত্যাশাও অভিন্ন। ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা পর্দার আড়ালে থেকে একই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। সবার দাবি সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থেই ইসি গঠনে মহামান্য প্রেসিডেন্টকে প্রভাবমুক্ত রাখা হবে। সার্চ কমিটির সর্বকর্মকা- জনসন্মুখে প্রকাশের দাবিও তাদের। জাতীর বৃহৎ স্বার্থে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ত্যাগ স্বীকার করবেন বলেও তারা বিশ্বাস করেন। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ২০১১ সালের সংবিধান সংশোধনে বিশেষ কমিটির সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ‘আমার কাজ আমি করমু, তোরে শুধু জিজ্ঞায়া লইমু’র পুনরাবৃত্তি যেন এবার না হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অনুসন্ধান কমিটির কাছে আমাদের প্রত্যাশা এমন ১০ জন ব্যক্তিকে বেছে নেয়া হোক, যারা যোগ্য, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং দায়িত্বশীল। যাদের অতীত বক্তব্য ও ভূমিকায় নগ্ন দলপ্রীতি নেই। অনুসন্ধান কমিটিকে নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারলে সেই বিতর্ক দূর হবে। আগামী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জমে থাকা কালো মেঘ কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে আসবে।
নতুন ইসি গঠনে ৩১ দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সংলাপ, সার্চ কমিটি গঠন, ১৬ বিশিষ্টজনের মতামত নেয়ায় যেমন মানুষের প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে; তেমনি ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনে সংসদীয় বিশেষ কমিটির মহাসংলাপের পর বিভিন্ন দল ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত ‘ফাইলবন্দী’ রেখে সরকারের ‘ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের’ অভিজ্ঞতা শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। নিরপেক্ষ ইসি গঠনে আমজনতা এখনো আশাবাদী হলেও রাজনীতিক ও সুশীলদের অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ‘সবার কথা শুনলাম; সিদ্ধান্ত আমরাই নেব’ অতীতের মতো সরকার নীতি গ্রহণ করেন কিনা। ২৭টি রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটিকে পছন্দের নাম দিলেও এই শঙ্কা থেকে চারটি দল নাম দেয়নি। সার্চ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হবে না শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম, আমি তো জানি সংবিধানে স্পষ্ট করে লেখা আছেÑ প্রধানমন্ত্রীর নিযুক্তি ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া প্রেসিডেন্ট কিছু করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর কথা ছাড়া প্রেসিডেন্ট এককভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন কীভাবে? জনপ্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক নয় এমন শঙ্কা প্রকাশ করে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, জনগণ চায় নিরপেক্ষ ইসি। এ সরকার জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণ করবে না। আর বাস্তবতা হলোÑ কেমন নির্বাচন হবে তা এখন সরকারের উপর নির্ভর করে না; নির্ভর করে বিরোধী দলের ওপর। কারো অনুকম্পার দিকে না তাকিয়ে বিরোধী দলকে (বিএনপি) বলব, মানুষের কাছে যান। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না; তেমনি মানুষের সমর্থন না থাকলে রাজনীতি বাঁচে না। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সময় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা ভাসানীর মধ্যে মুখ দেখাদেখি ছিল না। মওলানা ভাসানীর সঙ্গে এক সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা হতো না। কিন্তু দেশ ও জাতির প্রয়োজনে তারা এক হয়ে যুক্তফ্রন্ট করে মুসলিম লীগের কবর রচনা করেছিলেন। তবে ড. সাদত হোসাইন, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, শফিউল আলম প্রধান, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ না করেন, তাহলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন সম্ভব।
১২ নাগরিকের মতামত নেয়ার দু’দিন পর গতকাল চার বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত নিয়েছে সার্চ কমিটি। সে বৈঠকে চার বিশিষ্টজন নতুন ইসি গঠনে সৎ, দলনিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সার্চ কমিটির কার্যক্রম ও তালিকা জনসন্মুখে প্রকাশের দাবি জানান। বেঠক থেকে বের হয়ে এসে সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে যেটা জোর দিয়ে বলেছি, সেটা হলো যিনি ইসির দায়িত্বে আসবেন, তাকে বিবেকবান, সৎ, দলনিরপেক্ষ ও সাহসী হতে হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর সার্চ কমিটি দেশের সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনের সঙ্গে যে বৈঠক করছে, তা শুভ পদক্ষেপ। এতে আশাবাদী হচ্ছি। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এই দায়িত্ব অনেক বড়। আগামী নির্বাচনের ওপর ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের বিষয়টি নির্ভর করছে। সার্চ কমিটি যাদের বক্তব্য নিচ্ছে, তাদের বক্তব্যগুলো যেন ইসি গঠনে নামের তালিকার সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্যারিস্টার রুকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবারের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। বিগত সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ইসি গঠন হয়েছে। এবার নির্বাচিত সরকারের সময় হচ্ছে। তাই ইসিতে থাকা লোকজন যেন বিতর্ক পাশ কাটিয়ে যান সেটাই প্রত্যাশা।
নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্টের করা সার্চ কমিটির কাছে দেশের নিবন্ধিত ২৫টি রাজনৈতিক দল ১২৫ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছে। ওই তালিকা থেকে ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে সার্চ কমিটি। কারা আছেন ওই ২০ জনের তালিকায়? এ নিয়ে এরই মধ্যে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হতে আগ্রহীরা সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। কার নাম কোন রাজনৈতিক দলের তালিকায় আছে সেটাও জানতে চাইছেন তারা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া তালিকা থেকে ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়েছে। তিনি নামগুলো প্রকাশ না  করলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সার্চ কমিটির ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইন, সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপিকা সাদেকা হালিম, সাবেক সচিব মনজুর হোসেন, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলি থাকতে পারেন। তবে তালিকার বাইরেও মন্ত্রীপরিষদের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ড. মোহাম্মদ তারেক, সি কিউ কে মুসতাক আহমদের নামও পর্দার আড়াল থেকে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের দাবি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, সিপিবি এভাবে ইসি গঠনের বিপক্ষে। আমরা চাই জোড়াতালি না দিয়ে আইন অনুয়ায়ী ইসি গঠন করা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ইসি গঠন থেকে শুরু করে আগামীতে কেমন নির্বাচন হবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপর। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ভারত চেয়েছে বলে জনগণ ভোট না দিলেও হয়েছে। এখন তারা কি চাচ্ছেন? তবে আশাবাদী হচ্ছি এই কারণে যে, ওরা (দিল্লি) সরকারের প্রতি নাখোশ। চীনের সাবমেরিন ক্রয়, বিপুল পরিমাণ অর্থ নেয়া এবং বাংলাদেশের আকাশ ভারতের অবাধ বিচরণ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্তে ওরা ক্ষব্ধ। এসব কারণে ওরা (ভারত) এখন ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে পারেÑ তোমাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য এতো কিছু করছি অথচ তোমরা চীনের সাবমেরিন নিয়ে আমাদের অস্থিত্বের প্রতি হুমকি হয়েছ। তোমাদের সঙ্গে আমার নেই। এই যদি ভারতের ভূমিকা হয়, তাহলে ইসি দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে হবে। নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিতে পারবে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হবে বলে মনে হয় না। এনপিপির চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বিশ্বাস রাখতে চাই কিন্তু সেটা কঠিন। ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সাজেদা চৌধুরী ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নের্তৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়; তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বিভিন্ন দলের নেতা ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়। সে সময় সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং কমিটির সকলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল না করে সংস্কারের প্রস্তাব দেয়। এ ইঙ্গিত ক্ষমতাসীনরা মিডিয়ায় নিত্যদিন প্রচার করেছে। কিন্তু শেষে দেখা গেল কারো মতামত গ্রহণ না করে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। এবারো যদি সে ধরনের চিন্তা সরকারের মাথায় থাকে তা হবে খুবই খারাপ। কারণ এতোগুলো দলের কাছ থেকে নাম নেয়া এবং বিশিষ্টজনদের মতামত নেয়ার পর তাদের মতামত গ্রহণ না করলে ওই ব্যাক্তিদের অপমাণ করা হবে। সন্মান না করেন, কিন্তু মানুষকে অপমাণ করার অধিকার কারো নেই। সমাজের সন্মানিত সুপ্রষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ওই লোকগুলো হাসি-তামাশার পাত্র করা উচিত নয়। প্রশ্ন হলোÑ তুমি যদি তাদের মতামত গ্রহণ না করবে তাহলে তাদের ডাকলে কেন? সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নতুন ইসির আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রীপরিষদের সাবেক সচিব ড. সা’দাত হুসাইন বলেছেন, শেখ হাসিনা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। বেগম খালেদা জিয়াও তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই শীর্ষ নেত্রীর কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। বয়স হলে পদ-পদবী ক্ষমতার বদলে মানুষের চিন্তায় আসেÑ আমি কী করলাম মানুষের জন্য? এই বোধোদয় থেকে আমার বিশ্বাস, এবার সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়তো প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার না করে প্রেসিডেন্টকে দলনিরপেক্ষ ইসি গঠনে প্রভাবিক করবেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাবের লক্ষ্যে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে আজ আবারো বসবে প্রেসিডেন্ট গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি। বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয় সেটা দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে মানুষ।



 

Show all comments
  • Biplob ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০২ পিএম says : 0
    We hope that they will select neutral person for EC
    Total Reply(0) Reply
  • শুভ্র ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০৪ পিএম says : 0
    আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে দক্ষ ইসির কোন বিকল্প নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Salim ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০৬ পিএম says : 0
    Dekha jak tara ki koren
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    সবার প্রত্যাশা একটাই, নিরপেক্ষ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠিত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Zasim ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম says : 0
    সবার আগে নিবার্চন কমিশন আইন করা দরকার ছিলো, সমস্ত পাওয়ার কমিশন পাবে উদাহরন ভারতে কি ভাবে কমিশন করে তা দেখে করা
    Total Reply(0) Reply
  • Mahbur Rahman ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম says : 1
    প্রাইমা‌রি সিলেকশন ভাল হ‌য়ে‌ছে । দেখা যাক ফাইনাল ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shoriful Islam ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৬ পিএম says : 0
    নুর মোহাম্মদকে অামার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে। কারন ওনার কোন রাজনৈতিক বির্তক নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Monir ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৭ পিএম says : 0
    Ami Mone kori Dr. sha din Malik holy valo hobe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ