Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাবিতে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে হাকিম চত্বরে ‘কবিতা মানে না বর্বরতা’ সেøাগান দিয়ে শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব ২০১৭। গতকার বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসানের সমাধিসৌধ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কবিতা উৎসব এবার ৩১তম উৎসব পালিত হচ্ছে। জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ৩১তম উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে কবি সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক, কবি রফিক আজাদ ও কবি শহীদ কাদরীর স্মৃতির প্রতি। ৩১তম আসরের সভাপতিত্ব করছেন পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবি আসাদ চৌধুরী। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় মুক্ত আলোচনা পর্ব। বর্বরতার বিরুদ্ধে কবিতা শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কবি-লেখক-প্রতিনিধিরা।
দুপুর দেড়টা থেকে শুরু হয়েছে কবিতা পাঠ পর্ব। ৫ পর্বের এসব কবিতা পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করবেন দিলারা হাফিজ, আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিহাব সরকার, হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও রামেন্দু মজুমদার। এবার উৎসবে সাত দেশের ১৪ জন কবি অংশ নিয়েছেন। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এই কবিরাও কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করবেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কবিরা হলেন, ভারতের কবি আশিস সান্যাল, বীথি চট্ট্যোপাধ্যায়, রাতুল দেব বর্মন, কাজল চক্রবর্তী, দিলীপ দাস, অংশুমান কর, প্রাবন্ধিক চিন্ময় গুহ, সুইডেনের কবি ক্রিস্টিয়ার কার্লসন, অস্ট্রিয়ার মেনফ্রেড কোবো, জার্মানির ইওনা বুরঘার্ট ও টোবিয়াস বুরঘার্ট, পুয়ের্তোরিকোর লুস মারিয়া লোপেজ ও মারিয়া ডি লোস এ্যানজেলেস কামাকো রিভাস, রাশিয়ার ড. ভিক্টর আলেক্সান্ড্রোভিচ পোগাদাইভ।
এবারের উৎসবে জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা দেয়া হয়েছে কবি বেলাল চৌধুরীকে। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন হাবিবুল্লাহ সিরাজী। জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার পাচ্ছেন কবি সাজ্জাদ কাদির। কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে, আমাদের পূর্বসুরিদের নিরন্তর সংগ্রাম, ত্যাগ আর আত্মদানের পরম্পরায় স্বজনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ। আজ থেকে তিন দশক আগে সামরিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আহ্বান জানিয়ে শুরু হয়েছিল এর আনুষ্ঠানিকতা।
তিনি আরো বলেন, সাহিত্য ও সমাজে বন্যতা, অসভ্যতা নীচতা ও ক্ষুদ্রতার নির্দেশক হলো বর্বরতা। পৃথিবীর দিকে তাকালে হাজারটা প্রশ্নের ভিড় করে। ধর্মের নামে শিরñেদ করা কি মানুষের কাজ? কেন এত যুদ্ধ, হত্যা, ধ্বংস? সকল শিল্পের দাবি একটাই অসত্য, অন্যায়, কূপম-ুকতা, কলুষতা, অমঙ্গলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সুন্দরের আবাহন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ