মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী এবং সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে লন্ডনসহ অন্য আরও শহরে শহরে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। ট্রাম্প নিপাত যাক, আমরা মুসলিমদের পাশে রয়েছি, এমন সব শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বিক্ষোভ করে মানুষ। টেরেসা মে ই প্রথম বিশ্ব নেতা যিনি সদ্য ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন এবং তাকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা এ কারণে মে কে ধিক্কার দিয়ে শ্লোগান দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফর ঠেকাতে এরই মধ্যে পিটিশন সই করেছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র ১০ দিনেই এত বদলে যাবেন এমনটি আশাই করিনি, বলেন এক বিক্ষোভকারী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মের ওয়াশিংটন সফরের পরপরই ট্রাম্প অভিবাসন সংক্রান্ত আদেশ দেন। এতে করে ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্ক গড়ার যে প্রচেষ্টা মে দেখাচ্ছিলেন তা বিফলে গেছে। তাছাড়া, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করতে মের গড়িমসিতেও মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে। সব জায়গায়, সবখানে সবার অধিকারের পক্ষে মে সোচ্চার কিনা তা নিশ্চিত হতেই আমাদেরকে আন্দোলনে নামতে হয়েছে, বলেন এক বিক্ষোভকারী। প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিবাদ করেননি বলেই মনে করছে অনেকে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাপানের রাজধানী টোকিওতে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে মার্কিনিরা। গত মঙ্গলবার সকালে জাপানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্রবাসী আমেরিকানরা অংশ নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানাতেই এ বিক্ষোভে মার্কিনিরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তর করেছে/কোনও মুসলমান নিষিদ্ধ নয়/ আমরা মুসলমানদের পাশেই রয়েছি শ্লোগান সম্মলিত প্লাকার্ড অনেকের হাতেই দেখা যায়। আয়োজকরা বলেন, আমরা ট্রাম্পের নতুন নীতিতে একমত নই। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানাতেই আমরা টোকিওয় একত্রিত হয়েছি। এটি অনৈতিক ও মানবতা বিরোধী উল্লেখ করে আয়োজকরা বলেন, আমরা আশা করছি ডোনাল্ড ট্রাম্প অচিরেই তার ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেবেন। ওদিকে, জাপান সরকার ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর জাপান এয়ারলাইন্স (জাল) ও অল নিপ্পন এয়ারলাইন্স (এনা) এ সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।