Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কোনো মার্কিনিকে হত্যা করেনি নিষিদ্ধ দেশের নাগরিকরা

৪০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জঙ্গিবাদের ভয় দেখিয়েই সাত মুসলিম দেশের শরণার্থী ও নাগরিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে মার্কিন ইতিহাসের পরিসংখ্যানিক বিবরণ বলছে, ৪০ বছরে ওই সাত দেশের কোনো নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করেনি। গত শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর
মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়।
জনগণকে মুসলমানের ‘স্টিরিওটাইপ’ চেহারা নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভয় দেখনোটা পুরনো কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের। মুসলমান মানেই জঙ্গি; এমন একটা ভাবধারা সৃষ্টি করে নিজ দেশের জনগণের কাছে তোলা হয় জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত। আর এতেই ন্যায্যতা তৈরি করা হয় সেবাখাতে বাজেট কমানোর আর সামরিক ব্যয় বাড়ানোর।
এবারও তাই ঘটেছে। জাতীয় নিরাপত্তাকেই সাত মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদের ভীতি কাজ করছে দেশগুড়ে। তাই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওইসব দেশ থেকে কারও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এবং মুসলমানদের নিয়ে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি কতোটুকু বাস্তব? মার্কিন ইতিহাসে নজর ফিরিয়ে তার পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ থেকে ভিন্ন বাস্তবতার দেখা মেলে। সিএটিও ইনস্টিটিউট নামের এক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে উপজীব্য করে দেখা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সাতটি মুসলিম দেশের ওপর তার নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন, সেই দেশগুলোর কোনো নাগরিক বিগত ৪০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা করেছে বলে কোথাও কোনো রেকর্ড নেই।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সাতটি দেশের একজন নাগরিকও গত ৪০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কাউকে হত্যা করেনি। এর মধ্যে শরণার্থীরাও আছেন। এ সময়ের মধ্যে কেবল এসব দেশের ১৭ জন নাগরিক সমন্বিতভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়ে অভিযুক্ত। বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অনেক নেতাই এ ব্যাপারে একমত যে, এ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। অনেক নেতাই এ ব্যাপারে একমত যে, বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
শরণার্থী সীমিতকরণের ওই নির্বাহী আদেশের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয় মুসলমানরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কৃতি কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোনো

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ