Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কিত বিজিএমইএ

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক শিল্প থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিজিএমইএ ভবনের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্পের এ পরিস্থিতির বিষয়ে তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই থেকে ডিসেম্বরে দেশীয় পোশাক রফতানি কমেছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এদিকে বিগত ২ বছরে গ্যাস সংকটসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দিনে দিনে সক্ষমতা হারাচ্ছে পোশাক শিল্প।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে যে ৫০ বিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করতে হলে প্রতি বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হতে হবে। সেখানে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র প্লাস ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন যে পোশাক শিল্প মালিকেরা পণ্য রফতানি করে আয় দেশে না এনে বিদেশে রাখছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন ব্যক্তি যখন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নিয়ে এ রকম ঢালাও মন্তব্য করেন, সেটি আমাদের পীড়া দেয়। তার এই বক্তব্য আমাদের আহত করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তি অসৎ কাজ করেন, তাহলে কাস্টমস ও এনবিআর সুষ্ঠু তদন্ত করে সেই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনছে না কেন? কেন তার মুখোশ উন্মোচন করছে না?
তৈরি পোশাক আমদানি ও রফতানির তথ্য কাস্টমস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তথ্যের সমন্বয় করে অনিয়ম ধরা সম্ভব। ফলে কাস্টমস ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে সুষ্ঠু তদন্ত করে অসৎ ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিজিএমইএ কখনই তার ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করবে না।
সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেছেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, ব্যবসা ছেড়ে দিই। কিন্তু যখন অসহায় শ্রমিক ভাইবোনদের চেহারা মুখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন আবার উদ্যমী হয়ে ব্যবসায় ঝাঁপিয়ে পড়ি। অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, একজন কারখানার মালিক ২৪৭ কনটেইনার পোশাক রফতানি করেছেন, কিন্তু এর বিপরীতে একটি ডলারও দেশে আসেনি। তাহলে পোশাক রফতানি থেকে আয় করা বৈদেশিক মুদ্রা গেল কোথায়?
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বাজারে পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিজিএমইএর সভাপতি। দাবির মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাছাকাছি দুটি শিল্প এলাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা স্থানান্তর ও সংস্কারের জন্য বিশেষ পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন, ইউরো ও পাউন্ডের দরপতন মোকাবিলায় ব্যাংক সুদের ওপর বিশেষ ভর্তুকি ইত্যাদি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ২০২১


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ