Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন কূটনীতিকরা

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধিতায় নতুন উদ্যোগ

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির আনুষ্ঠানিক সমালোচনা করতে যাচ্ছেন। এমনকি এর একটি খসড়াও তৈরি করে ফেলেছেন তারা। বিবিসি ওই খসড়াটি দেখেছে, সেখানে লেখা রয়েছে, অভিবাসনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করাটা অমার্কিনসুলভ, এটা করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করা যাবে না। গত শুক্রবার সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মি. ট্রাম্প। প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস ওই কূটনীতিকদের প্রতিবাদের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে।
গত শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়।
অন্যদিকে, কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদ করার উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেছেন, আপনাদের এটা নিয়ে সমস্যা? আপনারা হয় এ কর্মসূচি মেনে নিন নইলে আপনারা বিদায় নিতে পারেন। ওদিকে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস বলেছেন, তার অফিস আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষ হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন না। মিসেস ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগ করা একজন কর্মকর্তা। অচিরেই তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে মি. ট্রাম্পের মনোনীত জেফ সেশনসের। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও বিচার বিভাগ থেকে প্রতিবাদের এ খবর এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নীতি নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে। ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এরকম প্রেক্ষাপটে রেওয়াজ ভেঙে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বারাক ওবামা। রেওয়াজ অনুযায়ী কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের কর্মকা- নিয়ে কখনো মন্তব্য করেন না। মি. ওবামা অবশ্য হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার আগে বলেছিলেন, তিনি যদি মনে করেন মি. ট্রাম্প আমেরিকানদের মূল মূল্যবোধের ওপর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাহলে হয়তো তিনি এটা নিয়ে কথা বলবেন। তার মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেছেন, সাবেক নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির সাথে একমত পোষণ করেন না।
অপর এক খবওে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস বলেছেন, তার অফিস-আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষ হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে না। ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ