বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : কৃষি খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি করতে আইনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উখাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল- ২০১৭’ উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে বিলটি ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশ জারির পর ১৯৮৪ ও ১৯৯৬ সালে দুই দফা তা সংশোধন করা হয়। উচ্চ আদালতে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল হওয়ায় সামরিক আমলের জারি করা অধ্যাদেশগুলোও বাতিল হয়ে যায়। ওই আইনগুলোর কার্যকারিতা রক্ষা করতে পরে নতুন আইন করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার, যার অংশ হিসেবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া আনা হলো। কৃষি গবেষণাকে আরও আধুনিক ও যুযোপযোগী করতে খসড়া করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, ইনস্টিটিউটে নতুন জাতের বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা, কৃষিতে আইসিটির প্রয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শস্য উৎপাদনের জন্য পঞ্জিকা তৈরি ও প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় দেশি ও বিদেশি প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষার জন্যয় ইনস্টিটিউট ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) চলমান কাজের বর্ণনা করে খসড়া আইনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি গবেষণা অপরিহার্য বিবেচনায় কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ‘দ্য বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬’ অধ্যাদেশটি রহিত করে বাংলা ভাষায় নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন
এর আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিলটিও সামরিক আমলে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে আনা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক কলাকৌশল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণার মাধ্যমে আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই ও উৎপাদনশীল একটি কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মাটি ও পানির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, যথোপযুক্ত প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে শস্যের গুনগতমান উন্নত ও পরিমান বৃদ্ধি করা, রোগ ও পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ এবং তার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়ন করার উদ্দেশ্যে খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।