মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সাত মুসলিম দেশের নাগরিক ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দা, সমালোচনা ও ক্ষোভ। হোয়াইট হাউজের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিসংশনেরও দাবি উঠেছে। এর মধ্যেই রোববার নিজের আদেশের প্রতি সাফাই গেয়ে কঠোরতা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। রোববার এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা, যাতে করে দেশটির সর্বত্র ভয়ংকর কা- এড়ানো যায়। টুইটে একই সঙ্গে ট্রাম্প মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমাদের দেশের প্রয়োজন কঠোর সীমান্ত ও চূড়ান্ত রকমের যাচাই প্রক্রিয়া। রোববার সকালে এই টুইট করেন ট্রাম্প। এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প আবার টুইট করেন। এবার মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা হত্যার শিকার হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অনেক খ্রিস্টানদের হত্যা করা হচ্ছে। এই নৃশংসতা আমরা চলতে দিতে পারি না। শুক্রবার সাত দেশের মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির নির্বাহী আদেশ দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দা শুরু হয়। ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন সংস্থার মধ্যেও এক ধরনের সমন্বয়হীনতা শুরু হয়। প্রথমে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া গ্রিনকার্ডধারীরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এরপর দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার ও শনিবারজুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করে। গত রোববার দেশটির আদালত ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আংশিক স্থগিত করার আদেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, অথবা ভ্রমণরত অবস্থায় আছেন; এমন নাগরিকদের বেলায় ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতি প্রয়োজ্য হবে না। বৈধ কাগজপত্রের অধিকারী যারা, তাদের ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়িত হবে না।
অপর খবরে বলা হয়, সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের মুখে এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেন নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান ডনেলি। কিন্তু অবস্থানে অনড় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। লিখিত বক্তব্যে ট্রাম্প মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এসব কিছুর জন্যে মিডিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার দোষ দিয়েছেন। তিনি বলছেন যে, ৯০ দিনের মধ্যে সকল দেশের নাগরিককেই ভিসা প্রদান করা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসী ও শরণার্থী বিরোধী এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস বিমানবন্দরসহ পুরো দেশজুড়েই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে বিমান বন্দরগুলোতে যেখানে আটকা পরেছেন বহু মুসলিম, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়। হোয়াইট হাউজের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের অভিসংশন দাবি করে বলছেন যে তার অভিশংসন হওয়া উচিত। আমাদের এই বৈষম্য বন্ধ করা উচিত। আমরা এভাবে সামনে এগুচ্ছি না, আমরা আসলে পিছিয়েই পড়ছি। দেশটি কিসে পরিণত হচ্ছে? এসব বন্ধ হওয়া দরকার। আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, প্রত্যেক বৈধ ব্যক্তিরই এদেশে আসা যাওয়ার অধিকার আছে। তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হওয়া উচিত নয় আমি মনে করি সবারই সে অধিকার থাকা উচিত। বিবিসি, পলিটিকো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।