মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ট্রাম্পকে ব্রিটিশ রানির পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ট্রাম্প এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। গত শুক্রবার নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিক ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিশ্বজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে এ দাবি জানালেন করবিন। লেবার নেতা করবিন বলেন, মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা ও আইন নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পকে সমর্থন করা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে না। দেশটির আইটিভিওয়ানের এক অনুষ্ঠানে করবিন বলেন, এতো দ্রুত এবং বিশেষত শেষ যে আদেশ দিয়েছেন এরপর তাকে (ট্রাম্প) আমন্ত্রণ জানানোটা একটু বিব্রতকর। আমার ধারণা, এই সফর দীর্ঘস্থায়ী কিছু একটার সূচনার করবে। করবিন আরও বলেন, আমার মনে আমাদের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। কিভাবে তারা মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা ও আইন রক্ষা করে তা দেখা। করবিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, লেবার নেতা মনে করেন, সিরীয় শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর ঠিক হবে না। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শেষে করবিন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানানো ঠিক হবে না। যেখানে তিনি মুসলিমদের নিষেধাজ্ঞা, শরণার্থীদের আক্রমণ ও নারী অধিকার নিয়ে লজ্জাজনক ও অবজ্ঞামূলক মন্তব্য করছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে করবিন বলেন, ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর যদি তেরেসা মে বাতিল না করেন এবং নিন্দা না জানান তাহলে তিনি ব্রিটিশ জনগণকে ব্যর্থ করবেন। এদিকে প্রথমে নিন্দা ও সমালোচনা না করলেও প্রবল সমালোচনার মুখে ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করার পর তেরেসা মে এই আদেশের নিন্দা জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্ক সফরে তেরেসা মে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি এ নিষেধাজ্ঞা সমর্থণ করেন কিনা। জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, সহিংস ইসলামিদের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করা উচিত ট্রাম্পের। মে আরও জানান, অভিবাসন নিয়ে এটা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব নীতি। তবে গত শনিবার শেষ বেলায় লন্ডন ফেরার পর দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নিজ দলের এমপিদের তোপের মুখেও পড়েন তিনি। রয়টার্স, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।