Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় ৩ চ্যানেল বন্ধে রিট খারিজ

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সম্প্রচারে আর কোনা বাধা নেই -রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী : উচ্চ আদালতে আপিল করব -রিটকারীর আইনজীবী
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেলের (স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা) সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেছেন, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় ওই তিন টিভির সম্প্রচারে আর কোনা আইনি বাধা নেই। অপরদিকে রিটকারীর আইনজীবী এখলাস উদ্দিন বলেছেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি ন্যায়বিচার পাব। এর আগে ২৫ জানুয়ারি রুলের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ডিজিটাইজেশনের এই যুগে বাস্তবতা নিয়ে চোখ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে এমন কোনো অনুষ্ঠান দেখানো ঠিক নয়, যা আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ব্যাহত করে। এক্ষেত্রে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী একটি কমিটি করার বিধান রয়েছে। যেই কমিটির দায়িত্ব টেলিভিশন অনুষ্ঠানসমূহ মনিটরিং করা। আদালত আরও বলেছেন, কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ফলে যদি ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সংক্ষুব্ধ হয়, তবে তাকে সরকারের কাছে অভিযোগ করতে হবে। আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অভিযোগ সরকারকে সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। কিন্তু রিটকারী সে ধরনের কোনো আবেদন করেননি। আদালত বলেন, এই রিটের কোনো মেরিট (গুণাগুণ) আমরা খুঁজে পাইনি। তাই এই রিট খারিজ করা হল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের পক্ষে আইনবিদ আবদুল মতিন খসরু এবং জি বাংলার পক্ষে আইনজীবী শামসুল হাসান শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে রোজার ঈদকে সামনে রেখে স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেসব সংবাদ যুক্ত করে ওই বছরের আগস্ট মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
রিটে উল্লেখ করা হয়, ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইনের কতিপয় ধারা লংঘনের মাধ্যমে এই সমস্ত চ্যানেল বাংলাদেশে প্রচারিত হচ্ছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।



 

Show all comments
  • আবদুল মজিদ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:১৪ এএম says : 0
    এই রায়ে আমি একমত হতে পারলাম না মাননিয় বিছার প্রতি,,,,বন্দ করলে খুশি হতাম
    Total Reply(0) Reply
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:১৭ এএম says : 0
    আমরা মসলমান,,,, এগুলা সমথর্ন করতে পারি না
    Total Reply(0) Reply
  • মুসা ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম says : 1
    নাটক করার কি ছিল। আগেই জানতাম এই সব চ্যানেল বন্ধ করার কোন ক্ষমতা তোমাদের নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir Hossain Ziban ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    very sad...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতীয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ