পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরবনের দস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর আত্মসমর্পণ
বরিশাল ব্যুরো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সুন্দরবনে জলদস্যুতার সাথে এখনও যারা জড়িত আছেন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন, তা না হলে তাদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারে জঙ্গি দমন সফলতা উল্লেখ করে বলেন, আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। জলদস্যুদের দমন করা তো আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার না। তিনি ইসলামের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম’, এখানে হত্যাকা-ের কোনো স্থান নেই। সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ বনদস্যু বাহিনী প্রধান জাহাঙ্গীর শিকারি এবং তার ২০ সন্ত্রাসী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গতকাল বরিশালে র্যাব-৮ এর সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণকালে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
এ নিয়ে গত নয় মাসে সুন্দরবনের ৯টি বাহিনীর ৯২ সহযোগী ১৯৫টি অস্ত্র ও ১০ হাজার ১৪৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করল।
গতকাল (রোববার) র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে ৩১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৫০৭ রাউন্ড গুলি সমর্পণের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এ আত্মসমর্পণ করে। র্যাব-৮ সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি র্যাবের একটি টিম সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে অভিযানকালে জাহাঙ্গীর বাহিনীর ২০ জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের বরিশাল র্যাব-৮ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের জন্য নিয়ে আসা হয়। গতকাল তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে আত্মসমর্পণ করে। এখন এদের আইনি প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি র্যাব ফোর্সেসের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে এবং সুন্দরবনকে জলদস্যু এবং বনদস্যু নির্মূূল করতে আমরা প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করব। তারপরও জলদস্যু এবং বনদস্যুদের ছাড় দেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।