মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুরো বিশ্বই যেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে : গর্বাচেভ
ইনকিলাব ডেস্ক : সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মনে করেন, আরেকটি বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্ব। আর এই কারণেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে পারমাণবিক অস্ত্র এবং সামরিক রাজনীতিসহ নতুন অস্ত্রের প্রতিযোগিতা। তবে বিরাজমান এই ঘনীভূত বিপজ্জনক উত্তেজনা কমাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনে দুই প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, স্নায়ুযুদ্ধ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পেছনে মিখাইল গর্বাচেভের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া, ১৯৮০ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা পালন করেছেন। টাইম পত্রিকায় ৮৫ বছর বয়সী গর্বাচেভ বলেন, পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে বিশ্ব আজ উৎকণ্ঠায়। মনে হচ্ছে, নীতিনির্ধারকরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। এখন সামরিক রাজনীতি এবং নতুন অস্ত্রের প্রতিযোগিতার চেয়ে অন্য কোনো সমস্যাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিধ্বংসী এই প্রতিযোগিতা থামানোর বিষয়টিকেই আমাদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নেতা আরো বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তা খুবই বিপজ্জনক। ন্যাটো এবং রাশিয়ার সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র একে অপরের দিকে তাক করে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে মোতায়েন রাখা হয়েছে। তিনি সাবমেরিন নিয়েও কথা বলেছেন। তার মতে, এই অস্ত্রশস্ত্র একটি মহাদেশের অর্ধেক বিধ্বস্ত করে দিতে পারে। গর্বাচেভ মনে করেন, যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাজনীতিক এবং সেনাবাহিনী যেসব প্রতিরক্ষার কথা বলছেন, তা আরো বিপজ্জনক। এতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নেতা বলেন, আমি মনে করি, এই সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পদক্ষেপ নেবেন। কারণ, এই দুই দেশের কাছে ৯০ শতাংশ পরমাণু অস্ত্র আছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৩৬৭টি, রাশিয়ার এক হাজার ৭৯৬টি এবং যুক্তরাজ্যের ১২০টি নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড রয়েছে। ইউক্রেন ও সিরিয়া ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পুরনো স্নায়ুযুদ্ধকালীন সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়েছে। তবে ওবামা প্রশাসনের বিদায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা দেখলেও গত এক সপ্তাহে দৃশ্যত কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। দি ইন্ডিপেনডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।