পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : সমুদ্র পথে আনুষঙ্গিক উপকরণ বহনের জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড একটি মাদার ভেসেল কিনবে। এর জন্য কোম্পানির খরচ পড়বে ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী ৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। গত সোমবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, মাদার ভেসেলটি ২০০১ সালে জাপানে তৈরি। জাহাজটি ৫০ হাজার ৯১৩ মেট্রিক টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করতে পারে। এর আগের দুটি জাহাজ মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি মাদার ভেসেল হবে। এর আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানি সাড়ে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মাদার ভেসেল কিনেছে। এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানির শেয়ার দর ১ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ১০ পয়সা। গত এক মাসে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ৮০ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা। ছয় মাসে এর সর্বনিম্ন দর ৭২ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এমআই সিমেন্ট। এ সময় কর পরবর্তী মুনাফা হয় ৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৫ টাকা ১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ২৯ পয়সা। এই সময়ে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড (শেয়ারের তৎকালীন বাজার মূল্য প্রতি লভ্যাংশ দেয়ার হার) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। গত ৫ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রপ্তানি আয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে এমআই সিমেন্ট। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (প্রথম প্রান্তিক) তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইপিএস ৮২ পয়সা।
কোম্পানি শেয়ারবাজারে ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৫ লাখ। এর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশই উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিকদের কাছে ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং বাকি ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে এর মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ২৬ দশমিক ২৫। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।