মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমন চান। দুই নেতা গত শুক্রবার টেলিফোনে আলাপকালে এ বিষয়ে সমাধান খোঁজার ব্যাপারে একমত হন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের খরচ দেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মেক্সিকো নাকচ করে দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক ধরণের গভীর টানাপোড়নের সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দুই নেতা ঘন্টাব্যাপী টেলিফোনে আলাপ করেন। ট্রাম্প ফোনালাপকে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনাকে ‘গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ’ উল্লেখ করে প্রায় একই ধরণের বিবৃতি দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের ইচ্ছানুযায়ী মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্ত দেয়াল নির্মাণে মেক্সিকো কোন খরচ দেবে না। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও নিয়েতো উভয়ে দেয়াল নির্মাণের খরচ কে দেবে তা নিয়ে স্পষ্ট মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির সকল পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। দুই নেতা আলোচনা চালিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শিগগিরই তাদের বৈঠক হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল মেক্সিকো সীমান্তে ৩ হাজার ২শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল তোলা। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার। এই খরচ মেক্সিকোর কাছ থেকেই আদায় করা হবে বলে সে সময় বলেছিলেন ট্রাম্প। মেক্সিকো প্রথম থেকেই এ দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে। নির্মাণ ব্যয় তারা দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। আগামী ৩১ জানুয়ারি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর ওয়াশিংটন সফর করার কথা। তবে বুধবার ট্রাম্প বলেন, দেয়াল তোলার খরচ না দিলে পেনা নিয়েতোর সফর বাতিল করা উচিত। এরপরই পেনা নিয়েতো সফর বাতিলের ঘোষণা দেন। এসব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিবিসি, এবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।