Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্র কি মুসলিমদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে?

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি শিগগিরই সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। কিন্তু এর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমদের ভিসা দিতে বৈষম্য করে বলে অভিযোগ আছে। কতটা সত্যি এই অভিযোগ? যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বিবিসি:
যে সাতটি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলে শোনা যাচ্ছে, সেগুলো হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া এবং ইয়েমেন।
এসব দেশের নাগরিকরা যখন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন করবেন, তখন তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে খুবই কম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখনই এসব দেশের মানুষের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন। যে ২০টি দেশের মানুষের ভিসা আবেদন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যান করে, তাদের মধ্যে রয়েছে সোমালিয়া আর সিরিয়া।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকবলিত দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা দেয়ার হার খুব কম। সোমালিয়া, ইরাক এবং সিরিয়া পড়েছে এই দেশগুলোর তালিকায়।
তবে আফগানিস্তানের নাগরিকদের ভিসা প্রত্যাহারের হার এর চেয়েও অনেক বেশি। ২০১৬ সেখান থেকে ৭৬ শতাংশ আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর পাশপাশি অনেক মুসলিম দেশের নাগরিকদের আবার ভিসা পেতে মোটেই অসুবিধা হচ্ছে না। ২০১৬ সালে সউদী আরব থেকে মাত্র চার শতাংশ ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। ২০১৫ সালে সউদী আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন প্রায় দেড় লাখ সউদী। ওমান থেকে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে মাত্র দুই শতাংশ। তবে শুধু মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনই বেশি প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে, এটি সবসময় বলা যাবে না। যেমন আজারবাইজান (মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ) থেকে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় পনের শতাংশ। অন্যদিকে প্রতিবেশি জর্জিয়া (খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ) থেকে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ৫৭ শতাংশ। মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা আবেদন প্রত্যাহারের হারও অনেক বেশি। ২০১৬ সালে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং কিরিগজস্তানের নাগরিকদের ৫০ শতাংশের বেশি ভিসা পাননি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের নাগরিকদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার কম। সেখানে ২৬ শতাংশ ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ২০১৬ সালে। পাকিস্তান থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয় ৪৬ শতাংশ আবেদন। অন্যদিকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ৬৩ শতাংশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের মুখপাত্র উইল কক্সকে বিবিসি জিজ্ঞাসা করেছিল ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে এই তারতম্য ব্যাখ্যা করতে। তিনি দাবি করছেন, প্রতিটি ব্যক্তির ভিসার আবেদন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। এখানে দেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি নেই। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ