মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে এতোদিনের ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে কোনো রকম দূরত্ব সৃষ্টি হোক তা চায় না ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়কেই উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং তার উপরই জোর দেয়া হচ্ছে। তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের তিক্ততা চরমে। আর পাকিস্তান ও আঞ্চলিক আধিপত্য নিয়ে দিল্লির সঙ্গে টানাপড়েন আছে বেইজিংয়ের। যে কারণে চীনকে একহাত নিতে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প ও মোদি।
শপথ গ্রহণের সময় ট্রাম্প বলেন, নিজের দেশের ক্ষতি করে প্রতিবেশী বা অন্য দেশগুলোকে ধনী করা চলবে না। চাকরি ক্ষেত্রেও অন্য দেশের লোকজন, অভিবাসীদের চেয়ে মার্কিনিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিদেশিদের এইচ বি-ওয়ান ভিসা দেওয়ার বিষয়ে আমার সরকার মোটেই নমনীয় হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আউট সোর্সিংয়ের একটি একটা বিশাল বাজার। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছে নয়াদিল্লি। কারণ মার্কিন প্রশাসন যদি সেখান থেকে ভারতীয়দের বের করে দেয় তাহলে চাপে পড়বে দিল্লি। পাশাপাশি এইচ বি-ওয়ান ভিসার ইস্যু তো রয়েছে।
তবে চীনকে টেক্কা দিতে ভারতকে পাশে পেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে দিল্লির উদ্বেগ আর ভয়গুলোকে ভাংতে হবে। পারস্পারিক লেনদেন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে ট্রাম্প যে ভারতের স্বার্থ দেখবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আগে ঠিক করতে হবে। কূটনীতিকদের আশা, চীনকে বাগে আনতে ট্রাম্প অবশ্যই ভারতের পাশে থাকবে।
শুধু ভারত নয়, মার্কিন কূটনীতিদের অনেকের ধারণা, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের যত কম খরচে কাজ করানো যায় তেমন মার্কিনিদের দিয়ে করানো সম্ভব হবে না। তাছাড়া মেধা বা কাজের মানের দিক দিয়ে অভিবাসীরা অনেকটাই এগিয়ে।
অভিবাসীদের বাদ দিয়ে মার্কিনিদের দিয়ে কাজ করাতে হলে কোম্পানিগুলোর খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে মার্কিন অর্থনীতিতে। ফলে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে যাতে ফাটল না ধরে তাই ট্রাম্প এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
তবে ট্রাম্পের কতটা কূটনৈতিক জ্ঞান আছে তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। কারণ সফল ব্যবসায়ী ট্রাম্পের রাজনীতিতে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ফলে তিনি কি নীতি নেবেন, কোন পথ ধরে এগোবেন, মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক বজায় রাখবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ এখনও পর্যন্ত তার তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখেও পড়েনি। এ পর্যন্ত স্বৈরতান্ত্রিক ও একগুঁয়ে পদক্ষেপ ছাড়া তাকে নিতে দেখা যায়নি। ফলে একটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সূত্র : ফরচুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।