পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাকবি মধুসূদন পদক ২০১৭ ভূষিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামকে সার্চ কমিটির সদস্য করায় মহামান্য প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, তার মতো একজন অরাজনৈতিক ও যোগ্যব্যক্তিকে সার্চ কমিটির ছয় জনের একজন করেছেন প্রেসিডেন্ট, এটি অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার বিষয়। তিনি যোগ্যদেরই সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৩ তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত মধুমেলার ষষ্ঠ ও সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি উপস্থিতিদের উদ্দেশে বলেন, অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই, তিনি কখনোই আওয়ামী লীগ করেননি। এমন একজন গুণী মানুষের সার্চ কমিটিতে উপস্থিতির বিষয়টি যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, তাদের ব্যাপারটা আমাদের ভাবতে হবে। অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে তারা সাংবিধানিক নানা পদে দলীয় লোক বসিয়েছিলেন বলে এখন সার্চ কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সমাপনী দিনে মন্ত্রী মহাকবি মধুসূদন পদক ২০১৭ প্রাপ্ত দেশের অন্যতম প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণের হাতে এবং আরেক পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের পদক ও সম্মাননাটি অপর কবি মারুফুল ইসলামের হাতে তুলে দেন।
ওবায়দুল কাদের মধুমেলার সাজসজ্জা বিষয়ে আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, আমি আগেও মধুমেলায় এসেছি। কিন্তু সাজসজ্জায় আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রীদের ছবি ও দলীয় সেøাগানের প্রকট উপস্থিতি লক্ষ্য করিনি। এখানে থাকবে মধুমেলার বিষয়, মহাকবি মধুসূদনের ছবি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাজসজ্জা আর সেøাগান শুনে মনে হচ্ছে- এটি আওয়ামী লীগের সমাবেশ, মহাকবির বিষয়টি এখানে ক্ষীণ হয়ে গেছে। আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আয়োজকদের নজর রাখতে বলেন মন্ত্রী। অন্য বক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ মঞ্চ মধুসূদনের বিষয়ে কথা বলার জন্য। রাস্তাঘাটের বিষয়ে দাবি করার জন্যে নয়। এখানে মধুকবির বিষয়ে আলোচনা করলে কেউ হাততালি দেয় না; কিন্তু রাস্তাঘাটের কথা বললে হাততালি দেয়া হয়। এটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, দেশের রাস্তাঘাটের সব তথ্য আমার কাছে আছে, সংস্কার করার মতো রাস্তা থাকলে তা সংস্কার করা হবে। তার জন্যে মধুমেলায় দাবি জানানোর কোনো মানে নেই।
অনুষ্ঠানে মধুসূদন পদকপ্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণ তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ১২ বছর বয়সে কবি মাইকেল মধুসূদনের একটি কবিতা চুরি করে ঢাকায় এক পত্রিকা অফিসে পাঠাই। তখন পত্রিকার সম্পাদক আমাকে লেখেন, এই কবিতাটি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের। নিজের চিন্তা ও ভাবনার বিষয়টি কবিতা আকারে লেখার পরামর্শ দেন তিনি। সেই থেকে এই ৬০ বছর আমি মহাকবির কারাগারে বন্দি ছিলাম। আজ ৭২ বছর বয়সে মহাকবির নামাঙ্কিত ছবিসমৃদ্ধ পুরস্কারটি পেয়ে মনে হচ্ছে, তিনি আমাকে মুক্তি দিয়েছেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।