মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় সেন্টার ফর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)। ওই কর্মসূচিতে মুসলিম, অভিবাসী ও শরণার্থীদের পাশাপাশি আইনজীবী ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারাও যোগ দেন। শরণার্থী ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। তিনি অভিবাসীদের পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জন-নিরাপত্তার কথা বলে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিউইয়র্কের পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে। নিউইয়র্ক থেকে কাউকেই বহিষ্কার করা হবে না। আমরা সবার নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গার বলেন, ‘আমি একজন ইহুদি হয়েও মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ এখানে কোনও এক গোষ্ঠীর মানুষ বাস করে না। সবার একসঙ্গে বাস করাটা স্বাভাবিক অধিকার হলেও এখন এজন্য আন্দোলনে নামতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী’।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং ফেডারেল প্রশাসনের পক্ষে কাজ না করলে অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্বাহী আদেশ জারির পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নিউইয়র্কসহ লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ কয়েকটি শহরের মেয়র।
নিউইয়র্কের বিক্ষোভে যোগ দেয়া লেখক সেলিন রবিনসন বলেন, ‘আমি মনে করি ‘নারী পদযাত্রা’ ছিল এক জেগে ওঠার আহ্বান। তা দেখিয়েছে, আমরা ভিন্নমতের হয়েও একসঙ্গে লড়তে পারি’।
ওয়াশিংটন ডিসি-তে বিক্ষোভেও নেতৃত্ব দেন মুসলিম নেতারা। বক্তারা ট্রাম্পের মুসলিম-বিরোধী নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন। মুসলিম শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপে দেয়া ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা নতুন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ তোলেন।
‘নারী পদযাত্রা’ ও ওয়াশিংটনের ওই বিক্ষোভে যোগ দেয়া সমাজতান্ত্রিক কর্মী ও পিএইচডি শিক্ষার্থী ইডনা বোনহোম বলেন, ‘এখানে যে জনস্রোত যুক্ত হয়েছে, তা আগের কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেখা যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘একজন মুসলিম বা অভিবাসী না হয়েও আমি ঘৃণার বিপরীতে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াচ্ছি’।
ট্রাম্পকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে বিক্ষোভকারীরা তার অভিবাসন-বিরোধী অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানান। সূত্র : টাইম, নিউইয়র্ক পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।