মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির মোকাবেলা করতে হাইড্রোজেন বোমা বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। ১৯৮৫ সালে এই সংক্রান্ত পরীক্ষাতেও এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ যে গোপন নথিগুলো প্রকাশ্যে এনেছে, তাতেই এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। সিআইএ-র মতে, রাজীব যে পরমাণু পরীক্ষার কথা ভেবেছিলেন, তা ১১ বছর আগের পোখরানের পরীক্ষার থেকেও অনেক শক্তিশালী। উপমহাদেশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে দূত পাঠাতে চেয়েছিলেন। তবে ইসলামাবাদ সেই প্রস্তাব মানতে রাজি হলেও নয়াদিল্লি ফিরিয়ে দেয়। নথিতে বলা হয়েছে, ইন্দিরা গান্ধি পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা করিয়েছিলেন কিন্তু রাজীব তার প্রধানমন্ত্রিত্বের শুরুর দিকে পরমাণু বোমা বানানোর প্রশ্নে দ্বিধায় ছিলেন। ১৯৮৫ সালে যখন তিনি জানতে পারেন পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানানোর পথে এগোচ্ছে, তখন মত বদলান রাজীব।সিআইএ-র দাবি, ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের ৩৬ জন বিজ্ঞানী হাইড্রোজেন বোমা বানিয়ে ছিলেন। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার নথিতে বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার রসদও মজুত করেছিল ভারত। পাকিস্তান যে ভাবে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছিল, তার প্রতিক্রিয়া দিল্লিতে দেখা যাচ্ছিল বলেই সিআইএ মতপ্রকাশ করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক চাপের কথা ভেবেই পাকিস্তানকে আক্রমণ করেনি ভারত। আর ইসলামাবাদের থেকে বেজিংকেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। নথিতে সিআইএ-র কর্তারা বলছেন, নয়াদিলির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তথ্য পাচ্ছেন না তারা। ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের কাছে কোনও খবরই যায়নি। তবে এর মধ্যেই হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরক তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। এবিপি, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।