পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : লাল মিয়া নামে এক অশীতিপর বৃদ্ধকে কুপিয়ে মাথা ফালা করে দেয়ার পরও ইউপি চেয়ারম্যান আসামিদের সাফাইপত্রে লিখেছেন ‘আসামিরা অত্যন্ত ভালো, বাদী খুব চালাক ও মামলাবাজ, আসামিদেরকে হয়রানি করার জন্য মামলা করেছে। তিনি হচ্ছেন, শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম সরকার। আসামিরা হলোÑ একই এলাকার দড়িপুরা গ্রামের ছাত্তার, ছেলামত আলী, শিউলী বেগম ও শিরিনা। মামলার বাদী হচ্ছেন হোসনে আরা বেগম। প্রেক্ষাপট হচ্ছে, বাদী হোসেনে আরা বেগমের স্বামী লাল মিয়ার সাথে আসামিপক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আসামিরা বৃদ্ধ লাল মিয়াকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে। বৃদ্ধ লাল মিয়ার মাথায় ১৪টি সেলাই দিতে হয়। এ ব্যাপারে হোসনে আরা বেগম থানায় মামলা করতে গেলে চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের হস্তক্ষেপে পুলিশ মামলা নিতে রাজি হয়নি। পরে হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করে। এ অবস্থায় আসামিরা আশ্রয় নেয় ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের। নাদিম সরকার ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য সালিশ বৈঠকের মৌখিক নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় এবং সালিশ বৈঠকে ন্যায্য বিচার না পাবার আশঙ্কায় হোসনে আরা বেগম বৈঠকে বসতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান হোসনে আরার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। তিনি আসামিদের পক্ষে এক সাফাইপত্রে লিখেন ‘প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, আমি বাদী ও বিবাদীগণকে গ্রাম্য সালিশে বসার জন্য অনেক বার চেষ্টা করেছে। বাদী হোসনারা বেগম অত্যন্ত চালাক। তিনি বাড়িতে বসে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করিতে রাজি না। বাদী হোসনারা বেগম, বিবাদীগণকে হয়রানি করার জন্য মামলা করেছে। বাদী মামলাবাজ, বিবাদীগণ অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাই মামলার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি এই প্রতিবেদন প্রেরণ করিলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।