মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: অপরিশোধিত তেল পরিবহনে ‘বিতর্কিত’ দু’টি পাইপলাইনের অনুমোদন দিলেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) কিস্টোন এক্সএল ও ডাকোটা অ্যাকসেস প্রকল্প দু’টিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি এই অনুমোদন দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির পরিবেশ আন্দোলনকারীরা। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ওবামা প্রশাসন কানাডা থেকে টেক্সাসে অপরিশোধিত তেল পরিবহনে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন স্থাপন স্থগিত করেছিলেন। স্থানীয় আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে মার্কিন ডাকোটা পাইপলাইনের জন্যই বিকল্প রুট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন সেনাবাহিনী। কিন্তু মঙ্গলবার মার্কিন সময় সকালে হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দু’টি প্রকল্পই নতুন করে নির্ধারিত শর্তাবলীর অধীনে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে কিস্টোন এক্সএল প্রকল্পে স্বাক্ষরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এই প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে এসব প্রকল্পের বিরোধীরা বলছেন, কর্মসংস্থানের প্রায় সবই অস্থায়ী। প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হলে খুব কমসংখ্যক মানুষই এখানে কর্মরত থাকবেন।
অন্যদিকে, ডাকোটা অ্যাকসেস প্রকল্পের পাইপলাইন তৈরিতে মার্কিন ইস্পাত ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাইপলাইন তৈরি করতে থাকব, ঠিক যেমনটি আমরা পুরোনো দিনে করেছি।’ কিস্টোন এক্সএল ও ডাকোটা অ্যাকসেস প্রকল্পে ট্রাম্পের অনুমোদনে তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির পরিবেশ রক্ষাকারী আন্দোলকারীরা। গ্রিনপিসের পরিচালক অ্যানি লিওনার্ড বলেছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এমন ভুয়া দাবি করা বাদ দিয়ে ট্রাম্পের উচিত হবে আমেরিকার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে মনোযোগী হওয়া। সিয়েরা ক্লাবের পরিচালক মাইকেল ব্রুন বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প চার দিন হলো অফিস করছেন এবং এরই মধ্যে তিনি আমাদের জলবায়ুর ক্ষেত্রে বিপদজনক হুমকি হিসেবে প্রমাণিত হতে শুরু করেছেন, যেমনটি আমরা আশঙ্কা করেছিলাম।’ ‘বিতর্কিত’ দুই পাইপলাইনের মধ্যে ডাকোটার পাইপলাইনটি আদিবাসীদের সংরক্ষিত এলাকার মধ্য দিয়ে যাবে। এই প্রকল্পের বিরোধিতাকারী ও ডাকোটার আদিবাসীদের অভিযোগ, অপরিশোধিত তেল পরিবহনের জন্য নর্থ ডাকোটা থেকে শিকাগোর পরিশোধনাগার পর্যন্ত প্রস্তাবিত পাইপলাইন স্থাপিত হলে তা আদিবাসী গোষ্ঠীর জীবনযাপন ও পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলবে। আদিবাসী গোষ্ঠীর নেতারা বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ‘আইন ও আদিবাসী চুক্তি’র লঙ্ঘন। তারা এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়েরও ঘোষণা দিয়েছেন। আদিবাসী গোষ্ঠীটির চেয়ারম্যান ডেভ আর্জামবল্ট দ্বিতীয় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকানরা জানে যে এই পাইপলাইন অন্যায্যভাবে আমাদের গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা আমাদের না জানিয়েই করা হয়েছে।’
মার্কিন তেল খাত অবশ্য ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগতই জানিয়েছে। তাদের পক্ষে রয়েছেন কিছু রিপাবলিকানও। টেক্সাসের সিনেটর জন করনিন বলেন, এই খবর মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার মতো। এটা প্রমাণ করে যে, আমেরিকার কর্মীদের জন্য যা সবচেয়ে ভালো হবে তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনও বিশেষ স্বার্থ নিয়ে কাজ করা উগ্রবাদী দলকে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেবেন না।’ বিবিসি,রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।