মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের একটি সমাধান বের করতে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যস্ততায় কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সোমবার শুরু হওয়া এ আলোচনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সিরীয় সরকার এবং বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়া দেশ তুরস্ক। এবারই প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিরোধীদলীয় আলোচক দল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই শান্তি আলোচনা থেকে কোনো যুগান্তকারী ফল আসবে সংগঠকরাও এমন আশা করছেন না। অপরদিকে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা সিরীয় সরকারের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলাপ-আলোচনা করবে না।
সিরীয় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শেষ আলোচনা ২০১৬ সালের প্রথম দিকে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। জাতিসংঘ ওই আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিল। তবে আস্তানার শান্তি আলোচনা থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কট্টরপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে বাদ রাখা হয়েছে। আলোচনায় জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত স্তাফান দ্য মিসতুরা উপস্থিত আছেন। কাজাখস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তাদের দেশের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন। গত ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ নিহত এবং এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জাবাথ ফাতেহ আল-শাম এবং কুর্দি ওয়াইপিজি বিদ্রোহীরা ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ অস্ত্রবিরতির অন্তর্ভুক্ত। তবে এরই মধ্যে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা। ইস্ট ঘওতাতে ফায়লাক আল রাহমান, জয়শ আল ইসলাম ও হারাকাত আহরার আল মাশ আল ইসলামিয়া লড়াই করছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এসব বাহিনীর হাত থেকে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকারি বাহিনী সেখানকার লোকজনকে সরে যেতে বলেছে। এ প্রসঙ্গে আল সামি বলেন, ইস্ট ঘওতাতে কমপক্ষে দেড়শ বিদ্রোহী গোষ্ঠী আছে। তবে এগুলো চার-থেকে পাঁচটি দলের শাখা। তাদেরকে একটি ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছে সিরিয়া সরকার।
অপর খবরে বলা হয়, সিরিয়া বিদ্রোহীমুক্ত করতে ইস্ট ঘওতা এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলেছে আসাদ বাহিনী। তবে স্থানীয়রা তাদের এলাকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে নারাজ। গত চার বছর ধরেই ইস্ট ঘওতা বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক ওয়ারদ মারদিনি বলেছেন, ইস্ট ঘওতার কোনো মানুষই তাদের আবাসস্থল ছাড়তে এবং এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে তুলে দিতে রাজি নয়। এ জন্য যদি তাদের প্রাণ দিতে হয় তাতেও তারা এই এলাকা ছাড়বে না। গত কয়েক বছরে ইস্ট ঘওতার স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে দামেস্ক বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। এই বিদ্রোহীদের আসাদ বাহিনী জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে। আলজাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।