Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইউরোপে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডানপন্থিরা

প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:০২ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রান্সের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থি দলের প্রার্থী ম্যারিন লি পেন সারা ইউরোপের ভোটরদেরকে জেগে ওঠার এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ভোটারদের অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানিতে ইউরোপের দক্ষিণপন্থি দলগুলোর নেতাদের এক নজীরবিহীন সমাবেশে লি পেন বলেন, ব্রেক্সিটের মধ্যদিয়ে ‘ইউরোপের সব ঘুটির পতনের অপ্রতিরোধ্য তরঙ্গাভিঘাতের সূচনা হবে। কয়েকশ’ ¯্রােতার উপস্থিতিতে তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা হলো ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থান। তিনি বলেন, ইউরোপ সম্পর্কে তার (ট্রাম্পের) অবস্থান স্পষ্ট। তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দমননীতি সমর্থন করেন না। ¯্রােতাদের হর্ষোৎফুল্ল অভিনন্দনের মধ্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সাল ছিলো অ্যাংলো-স্যাক্সনদের জেগে ওঠার বছর। আর আমি নিশ্চিত ২০১৭ হবে সেই বছর যখন ইউরোপীয় মহাদেশের জনগণের জাগরণ ঘটবে।
গত শনিবার জার্মানির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শহর কোবল্যাঞ্জ-এ ইউরোপের জন্য স্বাধীনতা স্লোগান নিয়ে ওই সমাবেশের আয়োজন করেন দেশটির অলটারনেটিভ ফার ডয়েচল্যান্ড (এএফডি) পার্টির মারকাস প্রেটজেল। সমাবেশে লি পেন জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তিনি (মার্কেল) জার্মানির জনগণের ইছার বিরুদ্ধে লাখো উদ্বাস্তকে সেদেশে আশ্রয় দিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন। এর আগে গত সোমবার এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ঠিক একই ভাষায় মার্কেলের সমালোচনা করেন। জার্মানিতে ওই সমবেশের লক্ষ্য ছিলো লি পেন-এর ফ্রন্ট ন্যাশনাল, জার্মানির এএফডি, ইতালির নর্দার্ন লিগএবং নেদারল্যান্ডস-এর ফ্রিডম পার্টির মতো ইউরোপের চরম ডানপন্থি দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো। আগে চরম ডানপন্থি দলগুলো গোটা মহাদেশেই প্রকাশ্যে সমাবেশের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতো। তখন কেবল স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী নীতির মাধ্যমে তাদের মধ্যকার যোগাযোগ সীমিত ছিলো। হঠাৎ কখনও একাধিক দেশের ডানপন্থি নেতাদের মিটিং হলেও তা গোপনে করা হতো অথবা খুব সামান্যই প্রচার পেতো। এবারই প্রথম গত শনিবার এএফডি নেতা ফ্রকি পেট্রি এবং লি পেন জনসমক্ষে উপস্থিত হন। মাত্র চার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এএফডি পার্টি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জার্মানির নির্বাচনে ১৪ শতাংশ ভোট পাবে বলে আশা করছে এবং এর ফলে দলটি প্রথমবারের মতো বুন্ডেস্টাগ বা পার্লামেন্টে প্রবেশ করবে। দলটির নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা লক্ষ্যভেদী উস্কানির এক কৌশল প্রয়োগ করছে। এই কৌশল অনুযায়ী পার্টির একজন নেতা আগে থেকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য কোনও বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনও বিরূপ মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনাম হবেন। এরপর প্রথমে পার্টির নেতৃত্ব ওই মন্তব্যের নিন্দা করবেন কিন্তু ভেতরে ভেতরে সেটা মেনে নেবেন এবং ওই মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখবেন। এদিকে লি পেন তার দলের সাবেক নেতা এবং তার বাবা জিন ম্যারি লি পেন-এর চরমপন্থি অবস্থানের থেকে দৃশ্যত দূরত্ব বজায় রাখছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার এই অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যে বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই পাল্টে গেছে এবং ইউরোপের অন্যান্য চরম ডান নেতাদের প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে সেটি হলো ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।       



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ