Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রেসিডেন্টকে কে এম হাসানের নাম দিয়েছেন খালেদা, তিনি কি নিরপেক্ষ? : ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি যাকে প্রধান উপদেষ্টা করতে চেয়েছিলেন, সেই সাবেক বিচারপতি কে এম হাসানকে সার্চ কমিটিতে রাখার জন্য নাম প্রস্তাব করেছেন। সেই হাসান সাহেব কি বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন না? তাহলে কোনটা পক্ষ, কোনটা নিরপেক্ষ?
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের  ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্টকে সার্চ কমিটিতে রাখার জন্য কাদের নাম প্রস্তাব করেছেন, সেটা প্রকাশ হয়নি।
গত শনিবার রাতে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী ও মেরুদ-হীন লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
যুবলীগের গতকালের কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনার সঙ্গে আমি দ্বিমত করছি না। সবিনয়ে বলছি, আপনি যে আজিজ মার্কা ইসি করেছিলেন, সেই এম এ আজিজ কি বিএনপির লোক ছিলেন না?
ইসি গঠনে সরকারের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রাষ্ট্রের অভিভাবক। তিনি যে নাম দেবেন, সেখানে বিএনপি-আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি বা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থকের নাম থাকবে না, এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি। বিএনপি যা করেছে, আওয়ামী লীগ তা করবে না।
নেতা-কর্মীদের সংশোধন হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আগামী নির্বাচনে জিতেই গেছি, এই আত্মসন্তোষ, এমন আত্মসন্তুষ্টি দলকে ডোবাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিন। এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ভালোর জন্য আশা করতে হবে, খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। খারাপ কাজ করলে খারাপ সময়ে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই সঙ্গে ভালো কাজ যারা করছে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন কারও খারাপ কাজের জন্য মøান হতে দিতে পারি না আমরা।
বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, আরেকবার যদি আমাদের ক্ষমতা হারাতে হয়, তবে ২০০১-০৬ মেয়াদের থেকেও ভয়ঙ্কর, ভয়াল রূপ নিয়ে তারা আবির্ভূত হবে। তখন আর প্রাণে বাঁচতে পারবেন না। বিএনপি-জামায়াত জোটের ওই আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে ‘রক্ত দিতে হয়েছে’ উল্লেখ করে পরেও এমন পরিণতির শঙ্কায় সবাইকে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যকে ডেকে সংশোধন হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির নামে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না। আমরা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। আমি চার থেকে পাঁচজন সংসদ সদস্যকে পার্টি অফিসে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছি, সংশোধন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের এসময় শনিবার ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির উদাহরণ টেনে বলেন, অনেক দিন পর ঢাকায় গ-গোল হয়েছে। হঠাৎ ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। আমি তাদের এই ঘটনাকে অপকর্মই বলব। যেটা আমাদের পার্টির ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœ করেছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ‘অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে’ বলেও জানান গত অক্টোবরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসা কাদের। প্রধানমন্ত্রী গতকাল (শনিবার) দেশে ফিরে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা অপকর্ম করবে তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে, দল থেকে বহিষ্কার করতে। যেদিন অপকর্ম হয়েছে সেদিনই অ্যারেস্ট করা হয়েছে, বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ