পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫১ কোটি ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৭ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে আয়রন স্টিল রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয়রন স্টিল রপ্তানিতে হয়েছিল ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে তামার তার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তামার তার রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৩৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। এ সময়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। তবে আগের অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ কম।চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বাইসাইকেল রপ্তানিতেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।