মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে। গত শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে উঠতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের আশপাশ স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। ক্যাপিটল হিলে প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালালে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজন আহত হয়। পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও অন্য একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের জীবন ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়ে পুলিশ।
সিএনএন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালানো শুরু করলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও স্ট্যান্ট গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নিরাপত্তাকর্মীরা। সিএনএনের লাইভে দেখা গেছে, থেকে থেকে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। সিএনএন অনলাইন জানিয়েছে, পুলিশ ২১৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর ক্যাপিটল হিলের বাইরে ওয়াশিংটন ডিসির যে রাস্তায় প্যারেড হওয়ার কথা, সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। অভিষেকের দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এই প্যারেডে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা প্যারেডের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখতে চাইছে। বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে ট্রাম্পকে ফ্যাসিবাদী, আতঙ্কাবাদী বলতে শোনা গেছে। তাদের দাবি, ট্রাম্পের হাতে আমেরিক নিরাপদ নয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে পরিচালিত হবে, যার ভোগান্তি পোহাতে হবে মার্কিনদের।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুসলিম ও অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন নিয়ে ট্রাম্প যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে অনেকে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার ঘোষণা দেওয়ায় এ নিয়েও উত্তেজনা রয়েছে। তা ছাড়া সবার জন্য জীবনবিমার প্রকল্প ওবামাকেয়ার বাতিলের কাজ শুরু করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এসব বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ হয়। মাঝে কিছু দিন বিরতি দিয়ে তার শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ আগে থেকে আবারও ফুঁসে ওঠে তুমুল বিক্ষোভ। ট্রাম্পের গৃহীত নীতির বিরোধিতা করে প্রায় ৯০টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন শপথের দিন বিক্ষোভ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ রূপ নেয় সংঘর্ষ। বিক্ষোভকারীরা চাইছে, ট্রাম্প যেন তার বিতর্কিত নীতি ও অবস্থান থেকে সরে আসেন। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।