Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গণমাধ্যমের ওপর আরো দমনমূলক হয়ে উঠতে পারে

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:২০ এএম

বিরোধ ঘোচার সম্ভাবনা কম
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণমাধ্যমের সঙ্গে বিরোধ দীর্ঘদিন চলবে, খুব সহজেই ঘুচবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন গণমাধ্যমের ওপর আরো দমনমূলক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে তার এই গণমাধ্যমবিদ্বেষী মনোভাবের ইতিবাচক দিকও আছে বলে মনে করছেন অনেকে। মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব দেখা যায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকে। এই দূরত্ব ক্রমেই বেড়েছে; কমেনি। দুই দিন আগেও ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে খুবই অসৎ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার গণমাধ্যমবিষয়ক লেখক মার্গারেট সুলিভানের আশঙ্কা, ট্রাম্প প্রশাসন নানা অজুহাতে অনেক সাংবাদিককে শাস্তি দিতে পারে। মূলধারার গণমাধ্যমের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বলা হয়, পত্রিকাটির সঙ্গে তার কোনো ধরনের সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য পত্রপত্রিকার প্রতি ট্রাম্পের বিদ্বেষ চরমে। গত বুধবার এনবিসি নিউজকে পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক বলেছেন তিনি। নির্বাচনে জেতার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বাজফিড নিউজ-এর কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমটিকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের আঁতাত ছিলÑ এমন অভিযোগ এনে খবর প্রকাশ করেছিল বাজফিড নিউজ। এরপর গত ১১ জানুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে সিএনএনের সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন তিনি। সংবাদমাধ্যমটির হোয়াইট হাউস প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা (সিএনএন) একটা ভুয়া সংবাদমাধ্যম। গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারস ফর আমেরিকা’র জ্যেষ্ঠ গবেষক ম্যাট গোস বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ কেমন হবে তা বুঝতে বাকি নেই।  নিউ নইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ