মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করা হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে : বেইজিং
ইনকিলাব ডেস্ক: চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন থামার লক্ষণ নেই। দিন দিন সেই সংকট ঘণীভূত হচ্ছে। তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র কেরে যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল তা এখন ব্যবসায়িক সম্পর্কে এসে থেমেছে। চীনের ব্যবসার ওপর ৪৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের মাত্র একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র এ হুঁশিয়ারি দিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিংয়ের মতে, আলোচনার মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যকার বাণিজ্য সংক্রান্ত জাটিলতা কাটানো সম্ভব। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের বাণিজ্যের ওপর কোনো রকম বাড়তি শুল্ক আরোপ করে তার পাল্টা জবাব তারা পাবে। বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্টকে সমস্যায় পড়তে হবে। ট্রাম্পের মনোনীত যুক্তরাষ্ট্রের হবু বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রোস চীনের ব্যবসায়িক পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে চীনকে মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পথে আগাতে হবে। এরপরই ট্রাম্প চীনের রফতানির ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের এ হুমকির জবাবে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র সান শিওয়েন বলেন, দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বেইজিং। আমি বিশ্বাস করি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এর মাধ্যমে দুই দেশেরই লাভ হবে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস এর সম্পাদকীয়তেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুদেশের মধ্যে লড়াইটা হবে মূলত বিশ্ব বাজারে আধিপত্য নিয়ে। কার হাতে এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাই নিয়েই দ্বন্দ্ব বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে বারবার যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের কথা বলে এসেছেন। আর তিনি ক্ষমতাসীন হয়েই সেটা কাজে করে দেখানোর চেষ্টা করবেন। ফলে সংঘাতটা অনিবার্যই। আগামীতে ট্রাম্পের ফোকাস’টা কোথায় থাকবে আর তার জন্য চীনের কী অসুবিধা হতে পারে সে কথাও দ্ব্যর্থহীন ভাবেই জানিয়ে বলা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। গ্লোবাল টাইমস।
মহাকাশেই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারবে ইসরাইলি মিসাইল
ইনকিলাব ডেস্ক : পরীক্ষামূলকভাবে একটি অত্যাধুনিক ব্লাস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে ইসরাইল। পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা কোনও মিসাইলকে অত্যন্ত নিরাপদে মহাকাশেই ধ্বংস করতে পারবে এই মিসাইলটি। মূলত মার্কিন অর্থ সাহায্যেই তৈরি হয়েছে অ্যারো-৩ সিস্টেমের এই মিসাইলটি। ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি ও মার্কিন সংস্থা বোয়িং যৌথভাবে তৈরি করেছে এটি। খবরে বলা হয়, ইসরাইলি সেনার হয়ে ২০০০ সাল থেকে কাজ করছে অ্যারো-২ ও অ্যারো-৩। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই অত্যাধুনিক মিসাইল প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব। যা ইসরাইলের সঙ্গে মিলে প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত হল। এর আগে ২০১৪ সালে গাজার জঙ্গি দমনের জন্য ব্যবহার হয়েছিল এই মিসাইল। সেক্ষেত্রে এই মিসাইলের সাফল্যই একে আরও উন্নত করতে উদ্বুদ্ধ করে দু’দেশকে। অ্যারো ছাড়াও ডেভিড’স সিলিং নামেও একটি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে ইজরায়েল। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।