মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এই মুহূর্তে চীনা নৌবহরের প্রবেশ ঠেকানোর কোনো উপায় নেই : মার্কিন কমান্ডার
ইনকিলাব ডেস্ক : চীন যে কোনও সময় ভারত মহাসাগরে ঢুকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন শীর্ষ মার্কিন কমান্ডার অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস জুনিয়র। চীন যেভাবে ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রভাব বাড়াচ্ছে তাতে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের যে প্রভাব আছে ভারতের তা নেই বলে জানান হ্যারিস। এনডিটিভি জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক কম্যান্ডের প্রধান হ্যারি হ্যারিস জুনিয়রের কথায়, এ মুহূর্তে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবহরের প্রবেশ আটকানোর কোনও উপায় নেই। চীনের বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং-এর নেতৃত্বে একটি চীনা নৌবহর বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের এক বড় এলাকায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে।
বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগর বা আরব সাগরের দিকে চীনা নৌবহর এখনও যায়নি। তবে চীনের নৌবাহিনী যে ভবিষ্যতেও সেদিকে যাবে না- একথা হলফ করে বলা যাবে না বলেই মনে করেন হ্যারিস। চীনা সাবমেরিন মাঝেমধ্যেই বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে হানা দিয়ে গোয়েন্দাগিরির চেষ্টা চালায়, একইভাবে চীনের বিমানবাহী রণতরীও এ অঞ্চলে যখন তখন ঢুকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তবে হ্যারিস এও বলেছেন যে, বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে পারবে না চীন। কারণ, এদিক থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা চীনের নৌবাহিনীর চেয়ে বেশি। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের বিমানবাহী রণতরীগুলোর সঙ্গেও চীনের লিয়াওনিং পেরে উঠবে না বলেও জানিয়েছেন হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড এত বিশাল অঞ্চলজুড়ে মার্কিন অভিযান নিয়ন্ত্রণ করছে যে ভূপৃষ্ঠে প্রায় ৫২ শতাংশ এলাকাই এর আওতায় পড়ে। ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গতিবিধিও এই প্যাসিফিক কমান্ডের অধীনে। ফলে ভারতীয় নৌবাহিনী আর মার্কিন নৌবাহিনীর যৌথ কার্যকলাপও তদারক করেন অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস জুনিয়র। এ যৌথ অভিযান অনেক দিন থেকেই জোরদার করার কথা বলে আসছিলেন হ্যারিস। আর এর প্রেক্ষিতেই তিনি এবার সতর্ক করে বললেন, চীন ভারত মহাসাগরে দ্রুত নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে। ফলে আরও সক্রিয় হতে হবে ভারতকে। দিল্লি এবং ওয়াশিংটন এরই মধ্যে যৌথভাবে সতর্কতা অবলম্বন করেছে বলেও জানিয়েছেন হ্যারিস। চীনা নৌবহরের কোন রণতরী কখন কোথায় থাকছে, তার ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। বিশ্বের সেনা পি৮ অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার ব্যবস্থায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে চীনা সাবমেরিনের ওপর নজর রাখছে বলে হ্যারিস জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আর বেশিকিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এনডিটিভি, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।