পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : শীতে নামমাত্র ঠা-ায় বসে বরফাচ্ছাদিত লেকের অবস্থা কিরকম হতে পারে তা কল্পনায় আনা কষ্টকর। তবে কেউ যদি এর অনুভূতি নিতে চায় তাহলে তাকে চলে যেতে হবে রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ দেখতে। সাইবেরিয়ার এই লেক তার সৌন্দর্যের ডালি উপুড় করে সবাইকে পৃথিবীর সৌন্দর্য দর্শন করাতে প্রস্তুত। প্রবল ঠা-ায় বরফ জমে হয়ে যাওয়া এই হ্রদ পৃথিবীর প্রাচীনতম ও গভীরতম। ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বৈকাল লেক শীতকালে দেড় থেকে দুই মিটার পর্যন্ত মোটা বরফের চাদরে ঢেকে যায়। কিন্তু সেই বরফের স্তর এতটাই স্বচ্ছ যে, এর নিচের সবকিছুই একেবারে পরিষ্কার দেখা যায়। হ্রদের গভীরে খেলা করা মাছ, সবুজ পাথর, হ্রদের নিচে জন্মানো জলজ গাছ সবই খালি চোখে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন আপনি। এই লেকের পানি এতই স্বচ্ছ যে, লেকের নিচে ৪০ মিটার পর্যন্ত দৃষ্টি অনায়াসে চলে যাবে।
এত স্বচ্ছ হলেও লেকের ওপরে পড়া বরফে চাদর কিন্তু যথেষ্ট শক্তপোক্ত। ১৫ টনের ভারী গাড়ি অনায়াসে চলে যেতে পারে এর ওপর দিয়ে। ১৬৪২ মিটার গভীর বৈকাল হ্রদ পৃথিবীর বৃহত্তম টাটকা পানির উৎস্য। শীতকালে পড়া এই বরফের চাদর মে মাস পর্যন্ত থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বৈকাল হ্রদ ও তার জীবজগৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈকাল হ্রদ থেকে একটিই নদী বেরিয়েছে, তার নাম আঙ্গারা। কিন্তু ৩৩৬টি নদী এই হ্রদে এসে মিশেছে। রুশ উপকথা অনুযায়ী, আঙ্গারার ৩৩৬টি ছেলে ও একটি মেয়ে। বৈকাল হ্রদের উৎস্যস্থল হলো শ্যামন স্টোন নামে এক পাহাড়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।