বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চন্দনাইশ চট্টগ্রাম থেকে এম এ মোহসিন : দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী দোহাজারী রেললাইনে কাজ শুরুর আলো দেখার প্রত্যাশায় প্রহর গুনছে। সরকারের এ লাইনে ঘুমধুম পর্য্যন্ত রেললাইন চালুর কথা বছরের পর বছর শুনে আসছেন । কিন্তু এখনো এ লাইনে কার্যক্রম কখন শুরু হচ্ছে তার জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী স্বপ্নের চোখে থাকিয়ে আসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে। দোহাজারী রেললাইনে আপ ডাউন ৬টি ট্্েরন ছিল। এ সময় ট্রেনের যাত্রী ছিল বাদুর ঝুলার মত। বিশেষ করে শহর মুখী চাকুরিজীবি মানুষ সকাল ৮টায় শহরগামী ট্্েরনে এবং বিকালে চাকুরি শেষে দোহাজারীগামী ৪টা ট্ট্রেনে যাত্রী সাধারণ যাতায়াত করত। এ লাইনে দীর্ঘ ২০বছর ধরে এসব ট্্েরন বন্ধ হয়ে যায়। শুধু মাত্র যাত্রী সেবা নামে আপ-ডাউন একটি ট্্েরন যাতায়াত করছে। অথচ আগেকার তুলনায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী শহরে কর্মস্থলে যাতায়তে দুঃখ দুর্দশার অন্ত নেই। এ দিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী সরকারিভাবে দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্য্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের যে আস্বস্ত হয়েছেন তা কখন প্রতিফলন হচ্ছে তার প্রতিক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ভায়া ঘুমধুমের মধ্যে রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে শুরু করতে পারেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে করে বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম-দোহাজারী ভায়া কক্সবাজার জেলার ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১২৯ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ করা হলে নতুন আলোর মুখ দেখবে দক্ষিন চট্টগ্রামবাসী। এতে করে সহজতর হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে জানা যায়, রেল মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরেছেন প্রায় ১৮হাজার ৩৪ কোটি টাকা। দোহাজারী-ঘুমধুম রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হবে। এর আগে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহŸান করা হবে। উপ-পরিচালক আরো জানান দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্টানকে কার্ষাদেশ প্রদান করা যাবে। এ দিকে নতুন বছরের জানুযারীর প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায় রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চলতি অর্থ বছরের মার্চ মাস নাগাদ কাজ শুরু করার কথা। ইতিমধ্যে এডিবির ্একটি টিম কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ভায়া ঘুমধুম রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পে ১২৯ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে রয়েছে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া ,লোহাগাড়া,চকরিয়া,রুমা ও কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১১টি রেল স্টেশন ,৫২টি বড় সেতু এবং ১২৯টির মত ছোট সেতু নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারে রেললাইন চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।